ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

কাল থেকে রোহিঙ্গাদের কলেরার টিকা : নাসিম

প্রকাশিত : ০৫:২৮ পিএম, ৯ অক্টোবর ২০১৭ সোমবার

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে কলেরার টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রোববার উখিয়া উপজেলায় কলেরার বিশেষ টিকাদান কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে।

প্রথম দফায় ১০ অক্টোবর থেকে আগামী ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত এক বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকে কলেরার টিকা দেওয়া হবে। এ কর্মসূচির আওতায় প্রায় ৬ লাখ ৫০ হাজার জনকে টিকা দেওয়া হবে।

দ্বিতীয় দফায় এক থেকে পাঁচ বছর বয়সী প্রায় দুই লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গা শিশুকে প্রথম ডোজ দেওয়া হবে। এর দুই সপ্তাহ পর থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে তাদেরকে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিশেষ টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করতে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ কক্সবাজার সফরে যাচ্ছেন।

সংবাদ সম্মেলনে জাহিদ মালেক বলেন, প্রতিটি টিকাদান কেন্দ্র সকাল ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। উখিয়া উপজেলায় প্রতিদিন দেড়শটি দল কাজ করবে। তারা দৈনিক ৭৫ হাজার জনকে টিকা খাওয়াবে। আর টেকনাফে ৬০টি দল ৩০ হাজার রোহিঙ্গাকে টিকা দেবে।

তিনি বলেন, নতুন আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ২৯ শতাংশ পাঁচ বছর বয়সী। ছয় থেকে ১৭ বছর বয়সী রোহিঙ্গার সংখ্যাও রয়েছে ২৯ শতাংশ। ৩৮ শতাংশ রোহিঙ্গা ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সী আর ৬০ বা তার বেশি বয়সের রয়েছে ৪ শতাংশ। এদের মধ্যে তিন শতাংশ (প্রায় ২০ হাজার) নারী গর্ভবর্তী আর শতকরা ৭ শতাংশ নারী তাদের শিশুকে বুকের দুধ পান করান।

জাহিদ মালেক বলেন, উখিয়াসহ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় নেওয়া এলাকাগুলোর ১৬টি স্থায়ী স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান এবং ১২টি অস্থায়ী স্বাস্থ্য কেন্দ্র মিলিয়ে মোট ২৮টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র সেবা দিচ্ছে।

এগুলোর মধ্যে রয়েছে, দুটি মেডিকেল কলেজ, দুটি সদর হাসপাতাল, তিনটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, চারটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, একটি পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, চারটি কমিউনিটি ক্লিনিক এবং ১২টি অস্থায়ীভাবে নির্মিত স্বাস্থ্য ক্যাম্প। এছাড়া সেনাবাহিনীর ১০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রও সহযোগিতা করছে।

সংবাদ সম্মেলনের উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, আইসিডিডিআরবি ও অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা।

 

আর/এআর