ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর জন্মদিন আজ

প্রকাশিত : ০৪:৫৫ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০১৭ সোমবার | আপডেট: ০৪:১৫ পিএম, ২৮ অক্টোবর ২০১৭ শনিবার

আজ ১৬ অক্টোবর কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র ৬১তম জন্মবার্ষিকী। কবির জন্মদিনে তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে একুশে টেলিভিশন অনলাইন’র পক্ষ থেকে গভীর ভালোবাসা।

কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ১৯৫৬ সালের ১৬ অক্টোবর তাঁর পিতার কর্মস্থল বরিশালের আমানতগঞ্জ রেডক্রস হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা ডাঃ শেখ ওয়ালীউল্লাহ এবং মাতা শিরিয়া বেগম। তাঁর মূল বাড়ি বাগেরহাট জেলার মংলা উপজেলার অন্তর্গত সাহেবের মেঠ গ্রামে। উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া রুদ্রের শৈশবের অধিকাংশ সময় তাঁর কেটেছে নানাবাড়ি মিঠেখালি গ্রামে (বাগেরহাট জেলার মংলা থানার অন্তর্গত)। এখানকার পাঠশালাতেই তাঁর পড়াশুনা শুরু।

১৯৭২ সালে ঢাকায় এসে ওয়েস্ট এ্যান্ড হাইস্কুল ভর্তি হয়ে ১৯৭৪ সালে চার বিষয়ে লেটার মার্কসসহ এসএসসিতে বিজ্ঞান শাখায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন তিনি। এর পর ১৯৭৬ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন। অতঃপর ১৯৮০ সালে সম্মানসহ বিএ এবং ১৯৮৩ সালে এমএ পাস করেন তিনি।

আশির দশকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের ময়দানে তিনি ছিলেন অন্যতম। জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠনে প্রধান উদ্যোগীদের তিনি ছিলেন একজন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই বিষ্ফোরক দিনগুলোতে রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন বিপ্লবের সহগামী এক মানুষ।

কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ তার স্বল্পসময়ের জীবনে রচনা করেছেন সাতটি কাব্যগ্রন্থসহ গল্প, কাব্যনাট্য ও অর্ধ শতাধিক গান। তাঁরই কবিতার লাইন “জাতির পতাকা আজ খামচে ধরেছে পুরনো শকুন” আজও অবিস্মরণীয়।

এরকম অসংখ্য কবিতা রচনা করেছেন রুদ্র। রাজনীতির ভন্ডামী আর সমাজের বৈশাদৃশ্যের ছবি তিনি তাঁর কবিতায় তুলে এনেছেন নিপুন তুলির টানে। “সোনালি শিশির” তাঁর একমাত্র গল্পের বই। তাঁর ‘বিষ বিরিক্ষির বীজ’ নামক একটি নাট্যকাব্য রয়েছে। এছাড়া উপদ্রুত উপকূল (১৯৭৯), ফিরে পাই স্বর্ণগ্রাম ১৯৮২, মানুষের মানচিত্র (১৯৮৪), ছোবল (১৯৮৬), গল্প (১৯৮৭), দিয়েছিলে সকল আকাশ (১৯৮৮), মৌলিক মুখোশ (১৯৯০) কাব্যগ্রন্থগুলোও ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে।

আর তাঁর বিখ্যাত ‘ভালো আছি ভালো থেকো’ গানটি জন্য তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি প্রদত্ত ১৯৯৭ সালের শ্রেষ্ঠ গীতিকারের (মরনোত্তর) সম্মাননা লাভ করেন।

রুদ্র আলোচিত নারীবাদী কবি-লেখিকা তসলিমা নাসরীনকে বিয়ে করেন ১৯৮১ সালে। ১৯৮৮-তে তাদের সাত বছরের দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটে। এর কিছুকাল পরে ঢাকার বাসভবনে কবির অকালপ্রয়ান ঘটে।

 

এসএ/এআর