ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

রাখাইন বন্দরের ৭০ ভাগ মালিকানা পাচ্ছে চীন

প্রকাশিত : ১১:১২ এএম, ১৮ অক্টোবর ২০১৭ বুধবার

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সমুদ্র বন্দরের ৭০ শতাংশ মালিকানা চীন পেতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা প্রাথমিক চুক্তিতে চীনকে ৮৫ শতাংশ মালিকানা দেওয়ার কথা থাকলেও মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আপত্তির কারণে এখন তা কমিয়ে ৭০ শতাংশ করা হয়েছে মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে খবর জানানো হয়েছে। 

মিয়ানমারের পক্ষ থেকে ওই প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও মং জানান, আনুমানিক ৭ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের ওই গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ নিয়ে চীনের সঙ্গে সমঝোতা করা হচ্ছে। চীনের সিআইটিআইসি গ্রুপের নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শেয়ার বাড়ানোর চেষ্টা করছে মিয়ানমার সরকার। গত সেপ্টেম্বরে এই বিষয়ে চুক্তি হয়।

ও মং জানান, মিয়ানমারের জনগোষ্ঠীগুলো মনে করে, আগের ৮৫-১৫ শতাংশের চুক্তিতে নিজ দেশের স্বার্থরক্ষা হয়নি। জনগণ ওই পরিকল্পনায় আপত্তি জানায়। সরকারও এখন আগের চেয়ে একটি ভালো চুক্তি করার চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, নতুন প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য মিয়ানমারের ভাইস প্রেসিডেন্ট হেনরি ভ্যান থিওর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তবে এই প্রকল্পে অর্থায়ন নিয়ে এখনও দুই পক্ষ সিদ্ধান্তে পৌঁছেনি।

ও মং জানান, তবে এখন প্রকল্পে অর্থায়ন নিয়ে কিছুটা মতভিন্নতা তৈরি হয়েছে। সেনা সমর্থিত প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনের সরকারের করে যাওয়া চুক্তিতে এই প্রকল্পের জন্য মিয়ানমারকে শুধু ১৫ শতাংশ অর্থ যোগানোর কথা বলা হয়। মিয়ানমার সরকারের কাছে মালিকানার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ৩০ শতাংশ অর্থায়ন চাইছে সিআইটিআইসি। অপরদিকে অর্থায়ন নিয়ে আগের চুক্তিতে অনড় থাকতে চাইছে মিয়ানমার।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চীন মূলত মধ্যপ্রাচ্য থেকে জ্বালানি আমদানিতে মালাক্কা প্রণালী এড়িয়ে বিকল্প পথ পেতে বঙ্গোপসাগরের কিয়া কিউ বন্দর চাইছে। যেখানে চীনা তেল ও গ্যাস পাইপলাইনের সূচনা হবে।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সিআইটিআইসি গ্রুপ কিয়া কিউ বন্দরের ৭০ থেকে ৮৫ শতাংশ মালিকানার প্রস্তাব করে। ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মিয়ানমারের এই বন্দরের মালিকানা পেতে চায় চীন।

সিল্ক রোড ইকোনোমিক বেল্ট এবং একুশ শতকের মেরিটাইম সিল্ক রোডকে সংযুক্ত করে নেওয়া ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোডের আওতায় এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকার দেশগুলোকে একটি বাণিজ্যিক ও অবকাঠামো নেটওয়ার্কে সম্পৃক্ত করতে চাইছে চীন। এর মাধ্যমে প্রাচীন সিল্ক রুটকে পুনরায় ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশা করছে।

 

আর/এআর