জিয়াকে নিয়ে দেওয়া বক্তব্য ধারণ করেন সিইসি
প্রকাশিত : ০১:৪২ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২০১৭ বৃহস্পতিবার

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠাতা বলে দেওয়া বক্তব্য এখনও ধারণ (ওন) করেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। কাউকে খুশি করার জন্য এ কথা বলেননি জানিয়ে তিনি দাবি করেন, ‘বক্তব্য তথ্যভিত্তিক’।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে (ইসি) সংলাপ–পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
জিয়াউর রহমানকে নিয়ে দেওয়া বক্তব্য কীভাবে তথ্যভিত্তিক, এর ব্যাখ্যায় সিইসি বলেন, জিয়াউর রহমান যখন নতুন দল গঠন করেন, তার আগে ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত দেশে গণতন্ত্র ছিল না। ৭৫ পর্যন্ত গণতন্ত্র ছিল। সেই ভিত্তিতে জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।
সংলাপে আসা চার শতাধিক সুপারিশ কিছু সাংবিধানিক, কিছু আইনসংক্রান্ত আর কিছু নির্বাচন কমিশনের করণীয়—এই তিনভাগে ভাগ করা যায় বলে জানান সিইসি। তিনি বলেন, এর মধ্যে যেসব সুপারিশ নির্বাচন কমিশনের নিজের পক্ষে বাস্তবায়ন করা সম্ভব, সেগুলো ইসি বাস্তবায়ন করবে। যেগুলো সুপারিশের জন্য আইন প্রণয়ন করতে হবে, সেগুলো সরকারের মাধ্যমে জাতীয় সংসদে পাঠানো হবে। আর যেগুলো সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়, সেগুলো সরকারের কাছে পাঠানো হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে কে এম নুরুল হুদা বলেন, সরকার যদি এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন না করে, তাহলে তাদের ওপর চাপ দেওয়ার বা বাধ্য করার সুযোগ সিইসির নেই।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ অক্টোবর বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসে সিইসি নূরুল হুদা দলটির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের গুণগান করেন। তিনি বলেন, ব্যক্তি হিসেবে এবং দলনেতা হিসেবে জিয়াউর রহমান চার বছর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন। তার হাত দিয়েই দেশে ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠা’ পায়।
বিএনপির সঙ্গে সংলাপে ওই বক্তব্যের কারণে ক্ষমতাসীন দলের অনেকের সমালোচনার মুখে পড়তে হয় সিইসিকে।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘স্বৈরশাসক’ জিয়া তার অবৈধ ক্ষমতার বৈধতা পাওয়ার চেষ্টায় ১৯৭৭ সালে ‘প্রহসনের’ গণভোটের আয়োজন করেন। তাতে সাধারণ মানুষ ‘ভোটাধিকার হারায়’ এবং সব গণতান্ত্রিক পরিবেশ ‘নষ্ট হয়ে যায়’। এর ধারাবাহিকতা চলে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর আরেক ‘স্বৈরশাসক’ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতন পর্যন্ত।
এর তিন দিন পর কমিশনের সঙ্গে সংলাপে এস আওয়ামী লীগ এ বিষয়ে সিইসির কাছে ব্যখ্যা চেয়েছিল বলে বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তবে কী ব্যাখ্যা তারা পেয়েছেন, তা খোলাসা করেননি ওবায়দুল কাদের।
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলাল উদ্দিন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
// এআর