ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৭ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

ইত্তেফাক : টানটান রহস্যে শিহরণ জাগাবেই (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১০:২০ এএম, ৪ নভেম্বর ২০১৭ শনিবার

পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের বাংলা সিনেমা ২২ শ্রাবণে ‘মার্ডার মিস্ট্রি’ উপভোগ করেছিলো সবাই। তবে বলিউড সিনেমায় সেভাবে মার্ডার মিস্ট্রি দেখা যায়নি। এমন রহস্যময় সিনেমার শেষ পর্যন্ত অপরাধীর একটি প্রশ্নই দর্শকদের মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ক্লাইম্যাক্সে গিয়ে জানা যায় আসল ঘটনা। পরিচালক অভয় চোপড়া সেটাই করে দেখিয়েছেন। তাও আবার ভীষণ নিপুণভাবে।

১৯৬৯ সালের যশ চোপড়া পরিচালিত, রাজেশ খান্না, নন্দা, ইফতেখার অভিনীত থ্রিলার মুভি ‘ইত্তেফাক’- রিমেক এটি। তবে নতুন মোড়কে সেটিকে ফের পর্দায় ফিরিয়ে আনলেন অভয় চোপড়া। যদিও গল্পে অনেকটাই পরিবর্তন আনা হয়েছে। সিনেমার প্রযোজনা করেছে করণ জোহরের ধর্মা প্রোডাকশন ও শাহরুখের রেড চিলি এন্টারপ্রাইজ।

গল্পে রাজেশ খান্না অভিনীত বিক্রম শেঠির চরিত্রে দেখা যাবে সিদ্ধার্থ মালহোত্রকে, আর সোনাক্ষীকে দেখা যাবে নন্দা অভিনীত মায়ার চরিত্রে। আর অক্ষয় খান্না অভিনয় করেছেন ইফতেখার অভিনীত পুলিশ আধিকারিক দেব-এর চরিত্রে।

সিনেমার শুরুতে দেখানো হয়েছে মুম্বইয়ের একটি বর্ষার রাত। দু‘টি খুনের ঘটনা, দু‘রকম বক্তব্য, দু’জন অভিযুক্ত, তবে সত্য একটাই।

গল্পের অন্যতম চরিত্র লেখক বিক্রম শেঠির (সিদ্ধার্থ মালহোত্রা) বিরুদ্ধে দু‘দুটি খুনের অভিযোগ রয়েছে।  স্ত্রী ক্যাথরিন মায়ার স্বামী শেখরকে খুনে অভিযুক্ত সে। যদিও বিক্রমের দাবি খুন সে করেনি। অথচ তাঁর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনেছেন মায়া (সোনাক্ষী সিনহা)। যে খুনের রহস্যের তদন্তভার রয়েছে পুলিশ আধিকারিক দেব-এর (অক্ষয় খান্না) উপর।

এদিকে বৃষ্টির দিনে ওই খুনের ঘটনায় বিক্রম এবং মায়া দু’জনেই যে পরস্পর বিরোধী বয়ান দিয়েছে সে দু’টিই বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয়। দর্শকরা শেষ পর্যন্ত উত্তর খুঁজতে থাকবেন, যে কে প্রকৃত খুনি?

কখনও মনে হবে বিক্রম সত্যি বলছেন, তিনি নির্দোষ, হয়ত কোনও তৃতীয় ব্যক্তিই খুনগুলি করেছে। আবার কখনও মনে হবে বিক্রম মিথ্যে বলছেন। একই রাতে দু’দু’টি খুন। দু’টি খুনের মধ্যে কী সত্যিই কোনও যোগ রয়েছে?

যেহেতু সিনেমাটি রিমেক, তাই গল্পটা দর্শকদের জানা। তবে সিনেমাটিতে নানা টুইস্ট আনা হয়েছে। টান টান উত্তেজনার মধ্যে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দর্শকদের যে যার নিজের চেয়াকে বসিয়ে রাখতে সক্ষম পরিচালক অভয় চোপড়া। তারপর খুনের তদন্তে দর্শকদেরও নিজের অজান্তেই জুড়ে দিতে সক্ষম পরিচালক। নাটকীয়তা, রসবোধ, ইমোশন সবকিছু মিলিয়ে নিপুণ দক্ষতায় ‘ইত্তেফাক’কে মার্ডার মিস্ট্রি করে তুলেছেন পরিচালক।

অক্ষয় খান্না চরিত্র সিনেমাটিকে আরও জমজমাট করে তুলেছে। পাশাপাশি সিদ্ধার্থ মালহোত্রর অভিনয়ও মুগ্ধ করবে। খুব অল্প সময়ে নিজের চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন সোনাক্ষীও। সব মিলিয়ে অভয় চোপড়ার ‘ইত্তেফাক’ শিহরণ জাগাবেই।

সূত্র : এনডিটিভি

 

দেখেনিন ‘ইত্তেফাক’ সিনেমার ট্রেলার :

 

এসএ/