ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

ফলের গায়ের স্টিকারের মানে কি জানেন?

প্রকাশিত : ০৯:৫৫ পিএম, ৮ নভেম্বর ২০১৭ বুধবার

প্রতিদিন আমরা যা খাই তার সব কিছুই যে ভেজালমুক্ত সেটা আমাদের পক্ষে যাচাই করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবে কিছু কিছু পণ্যের গায়ে স্টিকার দেখে সে পণ্যটি সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়। যেমন বিভিন্ন ফলের উপর থাকা স্টিকারগুলো দেখে বোঝায় যায় ফলটির মান ও উৎপাদন সম্পর্কে। সুপারমার্কেট বা কোনো ফলপট্টি থেকে আপেল, আঙ্গুর, নাশপাতি বা অন্য যে কোনো ফল কেনার সময় নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন ফলের গায়ে স্টিকার লাগানো থাকে। কোনো কিছু না ভেবেই, খুব ভালো বলে ধরে নিয়ে অনেক সময় বেশি দাম দিয়েও কিনে ফেলেন। ফলের গায়ে মারা স্টিকারে কী লেখা থাকে, ভালো করে দেখেছেন কখনও? বা যদি দেখেও থাকেন, তাহলে এর মানেটা কি বুঝতে পেরেছেন?

আসুন জেনে নেই স্টিকারের মানেগুলো-

১. স্টিকারে যদি দেখেন ৪ সংখ্যার কোড নম্বর রয়েছে এবং সেটা শুরু হচ্ছে ৩ বা ৪ দিয়ে, এর মানে হলো, কোনো ফার্মে ওই প্রোডাক্টির চাষ হচ্ছে বিংশ শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে। যার অর্থ, কৃত্রিম সার ব্যবহারের মাধ্যমেই চাষ হয়েছে।

২. যদি কোনো ফলের গায়ে ৫ সংখ্যার কোড দেওয়া স্টিকার দেখেন, যার শুরুটা ৯ দিয়ে, অর্থ, চিরাচরিত প্রথাতেই চাষ হচ্ছে। হাজার হাজার বছর আগেও যেভাবে চাষ হত, সে ভাবেই। মানে, কোনো রকম রাসায়নিক সার বা কীটনাশক দেওয়া হয় না। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে, জৈব সার প্রয়োগের মাধ্যমে চাষ হয়।

৩. স্টিকারে যদি ৫ ডিজিটের কোড থাকে এবং শুরুটা যদি ৮ সংখ্যা দিয়ে হয়, তার মানে ওই ফলটি GMO বা জেনেটিক্যালি মডিফায়েড। সোজা বাংলায় এটা হাইব্রিড ফল। তবে রাসায়নিক সার দিয়েই সচরাচর এই হাইব্রিড ফলগুলোর চাষ হয়।

তবে ইদানীং ফলে ফরমালিনসহ অন্য রাসায়নিক ব্যবহারের তথ্য পাওয়া যায়। এ রকম সন্দেহ হলে  সেক্ষেত্রে ফলটা বাসায় নিয়ে বালতির ভেতরে কমপক্ষে ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। তাহলে অন্তত উপরে ব্যবহৃত কোনো রাসায়নিক থাকলে সেটা পানির সাথে মিশে তলানিতে জমা হবে। নিরাপদে ফল খেতে পারবেন।

সূত্র : বিওয়েলডটকম।

ডব্লিউএন