ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৪ ১৪৩১

৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে ‘গ্রন্থ- ই বুক’ অ্যাপের উদ্বোধনে

প্রকাশিত : ০৪:৫৩ পিএম, ১৩ নভেম্বর ২০১৭ সোমবার

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ওপর একটি বিশ্লেষণধর্মী গ্রন্থ, সেটির ই-বুক ও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকের শুরুতেই জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণ থেকে নির্বাচিত ২৬টি বাক্যের ওপর ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ: রাজনীতির মহাকাব্য’ শিরোনামে গ্রন্থের তিন ধরনের সংস্করণের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।

সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন ডিজিটাল প্লাটফর্মে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটি যথাযথভাবে উপস্থাপনের লক্ষ্যে তথ্য ও যোগোযোগ প্রযুক্তি বিভাগ গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ: রাজনীতির মহাকাব্য’ গ্রন্থটির পরিকল্পনাকারী ও প্রধান উপদেষ্টা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এর প্রচ্ছদ এঁকেছেন চিত্রশিল্পী হাশেম খান।

বঙ্গবন্ধুর ভাষণ থেকে বাছাই করা ২৬টি বাক্যের বিশ্লেষণ করেছেন মুস্তফা নূরউল ইসলাম, আব্দুল গাফফার চৌধুরী, এমিরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, এস এ মালেক, সেলিনা হোসেনসহ কয়েকজন বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ ও লেখক।

বিশ্লেষণধর্মী এই গ্রন্থের মুখবন্ধ লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গ্রন্থটির ইলেকট্রনিক ভার্সন অর্থাৎ ই-বুক গুগল প্লে-স্টোর ও অ্যাপল স্টোরে বিদ্যমান `sheiBoi’ শীর্ষক অ্যাপের মাধ্যমে পাঠ করা যাবে।

এছাড়া 7 March Speech Analysis নামে গুগল প্লে-স্টোর থেকে গ্রন্থটি ডাউনলোড করা যাবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “বইটির মোড়ক উন্মোচন, ই-বুক ও মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধনের পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ষড়যন্ত্রকারীরা পরিকল্পিতভাবে দীর্ঘদিন আমাদের দুটো প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধু, জয় বাংলা, ৭ মার্চের ভাষণ, মহান মুক্তিযুদ্ধকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছে।”

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সোনার বাংলার আধুনিক রূপ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমে যখন দেশ এগিয়ে যাচ্ছে তখন তরুণ প্রজন্মকেও সামনে এগিয়ে যেতে, তাদের আত্মবিশ্বাস সুদৃঢ় করতে এবং তাদেরকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করার জন্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের গৌরবগাঁথা পৌঁছে দেওয়া একান্ত কর্তব্য ভেবেছি।

একাত্তরের ৭ মার্চ যে ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, সেই ভাষণ ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্ট্রারে’ যুক্ত হয়েছে।

৪৬ বছর আগে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) স্বাধীনতাকামী সাত কোটি মানুষকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম- এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”

তার ওই ভাষণের ১৮ দিন পর পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালি নিধনে নামলে বঙ্গবন্ধুর ডাকে শুরু হয় প্রতিরোধ যুদ্ধ। নয় মাসের সেই সশস্ত্র সংগ্রামের পর আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।

এসএইচ/ডব্লিউএন