ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

সব থানাকে পর্যায়ক্রমে নারী ও শিশুবান্ধব করে গড়ে তোলা হচ্ছে

প্রকাশিত : ০৮:০৪ পিএম, ১৩ নভেম্বর ২০১৭ সোমবার

দেশের সব থানাকে পর্যায়ক্রমে নারী ও শিশুবান্ধব করে গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন  পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক। তিনি বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে পুলিশ অত্যন্ত আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা তদন্তের ক্ষেত্রে পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বেড়েছে বলেও জানান আইজিপি।

সোমবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘জেন্ডার ভিত্তিক ভায়োলেন্স থেকে শিশু ও নারীদের সুরক্ষায় টেকসই উদ্যোগ’ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন তিনি।

পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি স্পেশাল ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট ড. এ এফ এম মাসুম রব্বানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পোও, বাংলাদেশে ইউএনএফপিএ’র প্রতিনিধি লরি কাটো, অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন ও অপারেশনস্) মো. মোখলেসুর রহমান।

অনুষ্ঠানে আইজিপি বলেন, পুলিশ বা অন্য কোনো একক প্রতিষ্ঠানের একার পক্ষে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। এজন্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, দেশি-বিদেশি এনজিও এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতা প্রয়োজন।

মিয়া সেপ্পোও তার বক্তব্যে জেন্ডার সহিংসতা নির্মূলের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার মাধ্যমে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে সাফল্য কামনা করেন।

লরি কাটো বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা বিশেষ করে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ অর্জনে সক্ষম হবে।

নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা তদন্তে ও সহিংসতা রোধে জনসচেতনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের সহযোগিতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ পুলিশ। ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রকল্পটি চলবে। ঢাকা মহানগর পুলিশের বিভিন্ন থানাসহ দেশের ৪টি জেলার ৫১টি থানায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের আওতায় ১২টি উইমেন হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। বগুড়া জেলায় আরো ৩টি হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হবে। বর্তমানে রাঙ্গামাটি জেলাসহ দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার নির্যাতিত নারী ও শিশুকে আইনি সহায়তা ও সুরক্ষা দিয়ে আসছে।

আর/ডব্লিউএন