ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

ভ্রমন পিপাসুদের হাট লালমনিরহাট

সাদ্দাম উদ্দিন আহমদ

প্রকাশিত : ০৩:৪৬ পিএম, ১৪ নভেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৪:০৩ পিএম, ১৪ নভেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার

ভারত সংলগ্ন বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা লালমনিরহাটে ভ্রমন পিপাসু মানুষের সমাগম দিনে দিনে বাড়ছে। অনেকেই বাংলাদেশের শেষ সীমান্ত থেকে ভারতের সৌন্দর্য দেখতে লালমনিরহাট যান। এখানে রয়েছে মোঘল আমলের ঐতিহ্যবাহী মসজিদ, ঐতিহাসিক তুষারভান্ডার জমিদার বাড়ী, কাকীনা জমিদার বাড়ি, বুড়িমারী স্থলবন্দর, ৬ নং সেক্টর হেড কোয়ার্টার, তিন বিঘা করিডোর প্রভৃতি। এছাড়াও লালমনিরহাট জুড়ে সবুজের সমারোহ তো রয়েছেই । এ কারণে এখানে পর্যাটকরা সারা বছরই ভিড় জমান।

 

তিন বিঘা করিডোর দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা ছিটমহল

বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ছিটমহল দহগ্রাম ও আঙ্গরপোতা। ১৯৮৫ সালে দহগ্রাম ও আঙ্গরপোতা ছিটমহল লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার ইউনিয়ন হিসেবে পরিগনিত হয়। ১৯৮৯ সালে ইউনিয়নটির শুভ উদ্বোধন হয়। এক সময় সেখানে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশীরা এক ঘণ্টা পরপর সুযোগ পেত। বর্তমানে সেই সমস্যা আর নেই। তাছাড়া বর্তমানে তিন বিঘা করিডোর এলাকাটি পরিণীত হয়েছে দর্শনীয় স্থান হিসেবে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সব বয়সের মানুষকেই এখানে দেখা যায়। সারা বংলাদেশ থেকেই ভ্রমন পিপাসু মানুষরা ভিড় করে করিডোর এলাকায়। সেখানে যাতায়াতের জন্য লালমনিহাট সদর থেকে বাস সর্ভিস থাকায় সহজেই যে কেউ যেতে পারে তিন বিঘা করিডোরে।

 

নিদাড়িয়া মসজিদ

ফটো-নিদাড়িয়া মসজিদ

১১৭৬ সালে মোঘল সুবেদার মনছুর খাঁ মসজিদ নির্মাণের জন্য জমি দান করেন। জনশ্রুত আছে মনছুর খাঁর দাড়ী না থাকায় মসজিদটি নিদাড়িয়া মসজিদ নামে পরিচিতি পায়। মসজিদটি দেখার জন্য সারাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা সেখানে যান। এখানে যাতায়াতের জন্য সিএনজি, অটোরিক্সা এবং বাস সার্ভিস রয়েছে।

 

তুষভান্ডার জমিদার বাড়ী

ফটো-তুষভান্ডার জমিদার বাড়ী

লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তুষারভান্ডার ইউনিয়নে তুষভান্ডার জমিদার বাড়ীটি অবস্থিত। তৎকালে রাজবাড়ীতে তুষ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের যজ্ঞানুষ্ঠান হতো। সংগ্রহিত তুষের স্তুপ থেকেই বাড়ীটি তুষভান্ডার নামে পরিচিতি পায়। লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ থেকে বাস যোগে সহজেই যাওয়া যায় জমিদার বড়িটিতে। বাড়ীটি দেখার জন্য সারাদেশ থেকে লোকজনের সমাগম ঘটে।

 

 কাকিনা জমিদার বাড়ী

ফটো-কাকিনা জমিদার বাড়ী

কাকিনা জমিদার ছিলেন বৃহত্তর রংপুর জেলার অন্যতম জমিদার। কাকিনা জমিদারী কাকিনা রাজবাড়ী নামে পরিচিত ছিল। লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জজেলায় গড়ে ওঠা জমিদার বাড়ীটি আজ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলেও সাক্ষি হয়ে দাড়িয়ে আছে জমিদারের ‘হাওয়াখানা’।  জমিদার বাড়ীতে সড়ক এবং রেল পথেও যাতায়াত করা যায়। সড়ক পথে যেতে হলে লালমনিরহাট থেকে বুড়িমারী স্থল বন্দর যাওয়ার সময় কাকিনা বাসস্ট্যান্ডের পাশেই রয়েছে জমিদার বাড়ির ভগ্নাবশেষ। রেলপথে যেতে হলে আপনাকে লালমনিরহাট জেলার কাকিনা রেল স্টেশনে নেমে ২ কিলোমিটার দুরত্বে কাকিনা বাসস্ট্যান্ডে যেত হবে। বাস স্ট্যান্ডের পাশেই রয়েছে জমিদার বাড়ীটি।

 

বুড়িমারী স্থলবন্দর  

ফটো-বুড়িমারী স্থলবন্দর  

বুড়িমারী স্থল বন্দর বাংলাদেশের শেষ প্রান্তে অবস্থিত  লালমনিরহাট জেলার অন্যতম স্থল বন্দর । দেশের শেষ প্রান্তের নৈসর্গিক সৌন্দর্য দেখতে অনেকেই সেখানে যান। সড়ক পথ এবং রেল পথেও বন্দরটিতে যাওয়া যায়।

 

নং সেক্টর বুড়িমারী

ফটো-৬ নং সেক্টর হেড কোয়ার্টার বুড়িমারী

মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের সেক্টর হেড কোয়ার্টারগুলোর মধ্যে অন্যতম ৬ নং সেক্টর হেড কোয়ার্টার। সেক্টর হেড কোয়ার্টাটি তৎকালীন বুড়িমারী হাসর উদ্দিন দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থাপন করা হয়। সেক্টর ভবনের নিকটে নির্মান করা হয়েছে স্মৃতিসৌধ। ঐতিহাসিক জায়াগাটি দেখতে দেশপ্রেমীরা সেখানে যান । সেখানে যাতায়াতের জন্য বাস সার্ভিস রয়েছে।

 

 

/এমআর