দুর্নীতি দমন কমিশনের ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
প্রকাশিত : ১০:১২ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার

নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয় প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শান্তির পায়রা উড়িয়ে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এরপর দিবসটি উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টির সভাপতি ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কমিশনার ড. নাসির উদ্দীন আহমেদ, কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম, সচিব ড. মো. শামসুল আরেফিন, মহাপরিচালক মো. জাফর ইকবাল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, `দেশে বাজার অর্থনীতি চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্নীতিবাজ, লুটেরার সংখ্যা বেড়েছে। অর্থপাচার করে দুর্নীতিবাজরা দেশের অর্থনীতিকে দুর্বল করছে। রাষ্ট্রের সব অঙ্গ দুর্নীতিগ্রস্ত হলে শুধু দুদক এককভাবে দুর্নীতি দূর করতে পারবে না। দুর্নীতি অঙ্কুরে বিনাশ করতে হবে।`
দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, `দুদকের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ দেশকে দুর্নীতি মুক্ত করা। তাই সম্মিলিতভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে।`
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, `দেশের সাধারণ মানুষ, সুশীল সমাজ, সরকারি কর্মকর্তা, গণমাধ্যমসহ সকলকে সঙ্গে নিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণজাগরণ সৃষ্টি করতে চাই। এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এটাই বড় প্রত্যাশা।`
এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল—`সবাই মিলে গড়ব, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ`। আলোচনা সভা শুরুর আগে চেয়ারম্যান সভায় উপস্থিত দুদকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতিবিরোধী শপথবাক্য পাঠ করান।
ঢাকাসহ সারাদেশে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার দিনভর দুদকের ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে ওইসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর একজন চেয়ারম্যান ও দুইজন কমিশনারের যোগদানের মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ রাষ্ট্রপতির সম্মতি পায় ২০০৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি। দেশের দুর্নীতি দমন, নিয়ন্ত্রণ, প্রতিরোধ এবং সমাজে সততা ও নিষ্ঠাবোধ সৃষ্টির দায়িত্ব এ আইনের মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশনের ওপর অর্পণ করা হয়।
ডিডি/টিকে