ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ক্যামেরার সামনে বিছানায় যাওয়া সুখের নয়, জানালেন পর্নোতারকা

প্রকাশিত : ০১:৫৬ পিএম, ২২ নভেম্বর ২০১৭ বুধবার | আপডেট: ১০:৩৪ পিএম, ২২ নভেম্বর ২০১৭ বুধবার

পর্নো ছবি বা নীল ছবির নাম শুনলেই অনেকে নাক শিটকান! তবে অপ্রিয় সত্য হচ্ছে-সুযোগ পেলে কার্যত অনেকেই একবার হলেও পর্নো ওয়েবসাইটে ঢু মারেন। সমীক্ষায় দেখা গেছে, তরুণ হোন আর বয়স্ক সবাই জীবনে একবার হলেও পর্নো সাইটে ঢুকেছেন। শুধু ঢুকেছেনই এমন-ই নয়, রীতিমত সাইটে ভিডিও দেখেছেন। বিশ্বে সাড়ে চার কোটি পর্নো ওয়েবসাইট আছে। এসব ওয়েবসাইটে প্রতি মাসে পেজ ভিউ বিশ্বের প্রভাবশালী গণমাধ্যম সিএনএন, ইএসপিএনের তিন গুণ।

তবে পর্নো ভিডিওতে যেসব দৃশ্য দেখানো হয় তার পুরোটা বাস্তব নয় বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান পর্নোতারকা মেডিসন মিসিনা। ৩৫ বছর বয়সী মিসিনা বলেন, পর্নোছবি শুধু দর্শকদের জন্যই হানিকারক না, বরং তা এসব ছবিতে অংশ নেওয়া অভিনেতাদের জন্য অস্বস্তির কারণ। আর ছবিতে যা দেখা যায় তার প্রায় সবটুকুই অবাস্তব। কারণ ভালোবাসা ছাড়া শারীরিক সম্পর্ক করা খুবই বেদনাদায়ক ও খুবই কষ্টকর।

মিসিনা আরও বলেন, ক্যামেরার সামনে বিছানায় যাওয়া মোটেও সুখের কিছু নয়। আমরা শুটিং করার আগে অনেক বিষয়ে আলোচনা করি, যেনো ক্যামেরায় সব কিছু ভালোভাবে ফুটে ওঠে। ছবির প্রয়োজনে অভিনেত্রীদের অস্বাভাবিক নানা রকম অঙ্গভঙ্গি করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। এতে শরীরের বিভিন্ন অংশে যন্ত্রণা সৃষ্টি হয়। এছাড়া পর্নো ছবি অনেক সময় কোনো বিরতি ছাড়াই ক্যামেরায় ধারণ করা হয়।

শুটিংয়ে বিরতি নেওয়া সম্পর্কে মিসিনা বলেন, পর্নো শুটিংয়ে বারবার বিরতি নেওয়া বিরক্তিকর। পুরুষ সঙ্গীদের কারণেই বারবার বিরতি নিতে হয় বলে জানান তিনি।

পর্নো ভিডিওর দর্শকদের উদ্দেশে মিসিনা বলেন, পর্নো ছবির নায়কদের দেখে ঈর্ষান্বিত হওয়ার কিছুই নেই। সেগুলো একেবারেই অবাস্তব। কারণ ভায়াগ্রাসহ বিভিন্ন যৌনশক্তিবর্ধক ওষুধ গ্রহণ করে তারা অভিনয়ে নামে।

অনেক নেতিবাচক দিক থাকলেও পর্নো ছবিতে কাজ করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন তিনি। দুই শতাধিক পর্নো ছবিতে অভিনয় করা মিসিনার মতে, পর্নো ছবিতে কাজ করা খুবই রোমাঞ্চকর!

সূত্র : দ্য সান

/ এমআর / এআর