ঢাকা, শনিবার   ০৪ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২০ ১৪৩১

জুমআর দিন সকল দিনের সরদার

মো: ইউসুফ হোসাইন

প্রকাশিত : ১১:০৭ এএম, ২৪ নভেম্বর ২০১৭ শুক্রবার | আপডেট: ১২:০৫ পিএম, ২৪ নভেম্বর ২০১৭ শুক্রবার

মহান আল্লাহতায়ালা মহাবিশ্ব সৃষ্টির পূর্ণতা দান করেছিলেন শুক্রবারে। এই দিনেই জান্নাতে একত্র করেছিলেন জাতির পিতা হযরত আদম আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও হাওয়া আলাইহি ওয়াসাল্লামকে। এই দিনে ইবাদতের জন্য মসজিদে একত্র হয় মুসলিম উম্মাহ। এই দিনটির অশেষ ফজিলতের কারণে দিনটিকে মুসলিম উম্মাহ’র সাপ্তাহিত ঈদ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

হযরত আবু লুবাবা ইবনে আবদুল মুনযির (রা:) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, জুমআর দিন সকল দিনের সরদার। মহান আল্লাহর নিকট সকল ‍দিনের চেয়ে মর্যাদাবান জুমআর দিন।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সূর্য উদিত হওয়ার দিনগুলোর মধ্যে জুমআর দিন সর্বোত্তম। এই দিন আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করা হয়েছে, এই দিনে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং এই দিন তাকে জান্নাত থেকে বের করে দেয়া হয়েছে, জুমার দিনেই কিয়ামত সংঘটিত হবে। (মুসলিম, তিরমিজি, নাসাঈ, আবু দাউদ)

হাদিসে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি জুমআর দিন জানাবত (ফরজ) গোসলের মত গোসল করে সালাতের জন্য আগমন করে, সে যেনো একটি উট কুরবানী করলো। যে ব্যক্তি দ্বিতীয় পর্যায়ে আগমন করে, সে যেন একটি গাভী কুরবানী করলো। যে ব্যক্তি তৃতীয় পর্যায়ে যে আগমন করে, সে যেন একটি শিং বিশিষ্ট দুম্বা কুরবানী করলো। চতুর্থ পর্যায়ে যে আগমণ করে সে যেন একটি মুরগী কুরবানী করলো। পঞ্চম পর্যায়ে যে আগমণ করলো সে যেন একটি ডিম কুরবানী করলো। পরে ইমাম যখন খুতবা প্রদানের জন্য বের হয় তখন ফেরেশতাগণ জিকির শোনার জন্য হাজির হয়ে থাকেন।

পবিত্র এই দিনটির ফজর থেকে মাগরীবের মধ্যবর্তী সময়ে সূরা ইয়াছিন, সূরা হুদ, সূরা কাহাফ এবং সূরা দোখান তেলাওয়াত করলে বিশেষ ফজিলত পাওয়া যায় বলে হাদিস শরিফের বর্ণিত আছে।

নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, জুমার দিন সূরা হুদ পাঠ করো। অন্য এক বর্ণনায় আছে যে, যে ব্যক্তি জুমার দিনে সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে তার জন্য এক জুমআর থেকে অন্য জুমআ পর্যন্ত বিশেষ নূরের বাতি জ্বালানো হবে। তিবরানি শরিফে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি জুমআর দিনে বা রাতে সূরা দোখান তেলাওয়াত করে আল্লাহ তায়ালা তাঁর জন্য জান্নাতে একটা বিশেষ মহল বানাবেন।

জুমআর দিনের ফজিলত শেষ নবীর উম্মতের জন্য অত্যান্ত বড় নেয়ামত। চলুন, এই দিনে আমরা কুরআন তিলাওয়াত, হাদিস অধ্যয়ন, তাসবিহ তাহলিলসহ ইবাদত বন্দেগিতে মনযোগ দিই।

 

লেখক : শিক্ষার্থী, এমবিবিএস ( ৩য় বর্ষ),

রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ মেডিকেল কলেজ, কিশোরগঞ্জ।

 

//এমআর