ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

পিলখানা হত্যাকাণ্ড

১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড, ১৮৫ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত : ০৬:২৭ পিএম, ২৭ নভেম্বর ২০১৭ সোমবার | আপডেট: ১১:৩৫ পিএম, ২৭ নভেম্বর ২০১৭ সোমবার

রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দফতরে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যার মামলায় ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এছাড়া ১৮৫ আসামির যাবজ্জীবন ১৯৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।

রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আইনজীবী এবং গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে আজ সোমবার এই রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিশেষ (বৃহত্তর) বেঞ্চ। অন্য দুই সদস্যরা হলেন- বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার।

আজ বেলা ২-৩৫ মিনিট থেকে আসামিদের দণ্ড ঘোষণা শুরু হয়। প্রথম দফায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের রায় দেওয়া হয়। এক এক করে অভিযুক্তদের নাম ও সাজা ঘোষণা করেন আদালত।

এর আগে ২০১৩ সালে ৮৫০ আসামির মধ্যে ৫৬৮ জনকে সাজা দিয়েছিলেন নিম্ন আদালত। তাদের মধ্যে ১৫২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ওই সময় খালাস পেয়েছিলেন ২৭৭ জন।

আজকের রায়ে নিম্ন আদালতের দেওয়া রায়ের কিছু অংশ বহাল রাখা হয়েছে। নিম্ন আদালতের ১০ বছরের সাজা পাওয়া ১৮২ জনের সাজা বহাল রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন মেয়াদে সাজা পাওয়া ২৫৬ জনের মধ্যে ২৯ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

খালাস পাওয়াদের মধ্যে দুই আসামি কারাগারেই মারা গেছেন। তাছাড়া আট জনকে দুই মামলায় আট বছর ও তিন বছর করে কারাদণ্ড, চারজনকে তিন বছর, দুজনকে ১০ ও তিন বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দফতর পিলখানায় জওয়ানরা অত্যন্ত নিষ্ঠুর ও নির্মমভাবে উচ্চ পদস্থ সেনা কর্মকর্তাদেরকে গুলি করে হত্যা করে। হত্যার পর সেনা কর্মকর্তাদের অনেকের লাশ ম্যানহোলে ফেলে দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে লাশ উদ্ধারের দৃশ্য দেখে সেনা কর্মকর্তাদের স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। স্বজনদের একটাই দাবি ছিল, নিষ্ঠুর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের যেন দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেওয়া হয়।

এই হত্যার ঘটনায় ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করা হয়। পরবর্তীকালে মামলা দুটি নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তর হয়। হত্যা মামলার বিচার নিম্ন আদালতে শেষ হলেও বিস্ফোরক আইনের মামলাটি এখনো বিচারাধীন রয়েছে।

 

/ডিডি/ এআর