ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

মেরিটাইম ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে একযোগে কাজ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত : ০৮:৩০ পিএম, ২৭ নভেম্বর ২০১৭ সোমবার

একটি রাষ্ট্রের একার পক্ষে সুনামি ও সাইক্লোনের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। সমুদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে যৌথ সহযোগিতার প্রয়োজন। সাগরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারলেই সমৃদ্ধ মেরিটাইম ইকোনোমির উন্নতি হতে পারে। এজন্য মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। তিনি বলেছেন, যৌথ উদ্যোগ ছাড়া আমরা আমাদের নাবিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারব না। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।”

আজ সোমবার কক্সবাজারে ইন্ডিয়ান ওশান নেভাল সিম্পোজিয়ামের (আইওএনএস) ‘মাল্টিল্যাটারাল মেরিটাইম সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এক্সসারসাইজের (ইমসারেক্স) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন ।

আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত কক্সবাজারে ইমসারেক্সের এবারের মহড়ায় অংশ নিচ্ছে মোট ২৩টি দেশ।

উল্লেখ্য, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সমুদ্র বিষয়ক সহযোগিতা উপর কাজ করে আইওএনএস। এর সদস্য দেশ ২২টি। এছাড়াও পর্যবেক্ষক হিসেবে রয়েছে নয়টি দেশ। সদস্য দেশগুলোর মধ্যে তথ্যের আদান-প্রদানে আইওএনএস কাজ করে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে ‘ব্লু ইকোনোমির’ গুরুত্ব তুলে ধরেন রাষ্ট্রপতি হামিদ। বাংলাদেশ নৌবাহিনী ‘আস্থার প্রতীক’ মন্তব্য করে রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকারের ব্লু ইকোনমি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে নৌবাহিনী সাগরে ‘অতন্দ্র অভিভাবকের মত’ কাজ করে যাচ্ছে। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলোকে মেরিটাইম ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে একযোগে কাজ করার আহ্ববান জানান তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, “আমরা সবাই সাম্প্রতিক সময়ে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কৌশলগত ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন্। সাগরের সম্পদ উত্তোলন, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই অঞ্চলের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। আর এই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই বাংলাদেশ সরকার সমুদ্র খাতের উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছেন।”

আব্দুল হামিদ বলেন, “আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, মতপার্থক্য দূর করতে মতামতের স্বচ্ছ ও উন্মুক্ত আদান-প্রদানই একমাত্র পথ।” তিনি আরও বলেন, “স্থলভাগের সীমান্ত দেশগুলোকে আলাদা করে রাখলেও সাগরের বন্ধুত্বের বন্ধন আমাদের একসাথে রাখতে পারে। আইওএনএস শুধুমাত্র ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নয়, বরং এশিয়া-প্যাসেফিক ও সংলগ্ন অঞ্চলের আশার প্রতীক।”

অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশের নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নিজামউদ্দীন আহমেদ, ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল সুনীল লানবা, সেনা ও বিমান বাহিনী প্রধান, স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং বেসামরিক-সামরিক কর্মকর্তারাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

একে//