ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

টেকসই উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির ঘাটতি রয়েছে

প্রকাশিত : ০৯:০৬ পিএম, ২৭ নভেম্বর ২০১৭ সোমবার | আপডেট: ১১:৩৫ পিএম, ২৭ নভেম্বর ২০১৭ সোমবার

পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদে বলেছেন, আমরা টেকসই উন্নয়নের কথা বলে থাকি। তবে এজন্য শক্ত রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির ঘাটতি রয়েছে। এছাড়া সবাইকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। সোমবার রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) অডিটোরিয়ামে দুই দনিব্যাপী বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলন-২০১৭ এর সমাপনী দিনের প্রথম সেশনে প্যানেল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলনে।


অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী। সেশনে সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধূরী।

কাজী খলীকুজ্জামান বলেন, আমরা টেকসই উন্নয়নের কথা বলে থাকি। তবে এজন্য শক্ত রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির ঘাটতি রয়েছে। এছাড়া সবাইকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী  বলেন, আর্থিক অবকাঠামোতে দৃশ্যমান গতি আনতে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর্থিক স্থিতিশীলতা ও টেকসই উন্নয়নের দিকে দেশকে এগিয়ে নেওয়া এর মূল উদ্দেশ্য।

তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই আন্তঃব্যাংকিং লেনদেনে মোবাইল ব্যাংকিং যুক্ত হয়েছে। এর ফলে প্রান্তিক ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ব্যাংকিং সেবার আওতায় আসছে। মোবাইল ব্যাংকিংকে বাংলদেশ ব্যাংক আরও গ্রাহকবান্ধব করতে চায়। এতে অন্তর্ভুক্তিমুলক অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন আসবে। এজন্য স্কুল ব্যাংকিং ছাড়াও আর্থিক খাতের বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংককে “ডিজিটালাইজড” বা শতভাগ স্বয়ংক্রিয় করাই এখন প্রধান উদ্দেশ্য।

এবারের বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলনে চারটি প্লানারি সেশনে ২০টি প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ, ব্যাংকার, গবেষক এবং শিক্ষার্থীরা এসব সেশনের আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। এবারের বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলনে সহযোগিতা করছে ইউনাইটেড নেশন ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (ইউএনসিডিএফ)। এছাড়াও সহযোগিতা করেছে কিউ-ক্যাশ, এনরুট এবং আমরা নেটওয়ার্কস। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে-বণিক বার্তা, ঢাকা ট্রিবিউন এবং চ্যানেল ২৪। ২০১২ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের সবচেয়ে বড় এ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছে বিআইবিএম।

দ্বিতীয় দিনের এই সেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ও বিআইবিএম এর চেয়ার অধ্যাপক খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, অবৈধ লেনদেনগুলোর বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গোয়েন্দা ইউনিট কাজ শুরু করেছে। এ ধরণের অবৈধ লেনদেন অবশ্যই খুঁজে বের করতে হবে। কারণ অন্তর্ভুক্তিমুলক ব্যাংকিংয়ের বড় বাঁধা  হচ্ছে এসব অবৈধ লেনদেন। মোবাইল ও এজেন্ট ব্যাংকিং অন্তর্ভুক্তিমুলক ব্যাংকিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও এখন তা গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।


এসএইচ/