বিটিআরসির স্বায়ত্তশাসন চায় চেয়ারম্যান
প্রকাশিত : ১০:১৫ পিএম, ২৯ নভেম্বর ২০১৭ বুধবার | আপডেট: ১২:০১ এএম, ৩০ নভেম্বর ২০১৭ বৃহস্পতিবার

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) বিভিন্ন কাজে ধীরগতি হওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে দায়ি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ। একই সঙ্গে তিনি বিটিআরসিকে স্বাধীন কমিশনে রূপান্তরের পক্ষে মত জানিয়েছেন। বুধবার বিটিআরসি কার্যালয়ে টেলিকম বিটের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ মত প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ২০১০ সালে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন সংশোধনের পর টেলিযোগাযোগ সম্পর্কিত ক্ষমতা বিটিআরসি থেকে মন্ত্রণালয়ে চলে যায়। তখন থেকেই লাইসেন্স ইস্যুসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে বিটিআরসি ও মন্ত্রণালয়ের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে।
শাহজাহান মাহমুদ বলেন, একটি স্বাধীন কমিশন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। কতগুলো ক্ষেত্রে সরকার কমিশন গঠন করলে, ওই খাত আরও ভালোভাবে চলতে পারে। ২০১০ সালের পর কিছু কিছু ক্ষমতা মন্ত্রণালয়ে ট্রান্সফার করার ফলে এর কাজের গতিতে স্থবিরতা আসে। তিনি বিটিআরসির কাজে স্থবিরতার জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অনুমোদন পেতে দেরি হওয়াকে দায়ি করেন।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, আগে একটি সিদ্ধান্ত ১৫ দিনে নেওয়া যেত, এখন হয়তো তিন মাস বা চার মাস লাগে। এমনও উদাহারণ আছে আমাদের কাছে বছরও লেগে যায়, তারপরও কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। উদাহারণ হিসেবে তিনি বলেন, ইন্টারনেট সেবাদাতাদের লাইসেন্স বিভিন্ন কারণে বুরোক্রেটিক জটিলতায় আটকে আছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাষ্ট্র। পাশাপাশি এর কারণে আইএসপি সেক্টর সম্প্রসারিত হচ্ছে না।
চেয়ারম্যান বলেন, স্বাধীন কমিশনের ক্ষমতা না থাকলে এ ঘটনা ঘটে। এখানকার আইন-কানুন এবং বিভিন্ন শাসনতন্ত্র দেখে মনে হয়েছে, এটি স্বাধীন কমিশন হিসেবে তৈরি হয়েছিল। বিটিআরসিকে পুনরায় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, আইএসপি হলো ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রথম পদক্ষেপ। যতক্ষণ পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ানো যাবে না ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বলতে যে সেবা বোঝায় সেটি সাধারণের কাছে নিয়ে যেতে পারবো না। আমাদের অনেকদূর যেতে হবে। অনেক দেশে আছে, যাদের ফোর-জি চালু হলেও আমাদের হয়নি, তবে সেটি খুব দ্রুত আমাদের এখানে দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে টেলিকম বিটের সাংবাদিকদের সভাপতি রাশেদ মেহেদী ও সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
আর/এসএইচ