ঢাকা, শুক্রবার   ২৭ জুন ২০২৫,   আষাঢ় ১৩ ১৪৩২

মেয়র আনিসুল হক আর নেই

প্রকাশিত : ১১:০৬ পিএম, ৩০ নভেম্বর ২০১৭ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:২৫ এএম, ১ ডিসেম্বর ২০১৭ শুক্রবার

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাতে চিকিৎসকেরা তার কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসযন্ত্র (ভেনটিলেশন যন্ত্র) খুলে নেন। এরপর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। বৃহস্পতিবার রাতে মেয়রের পারিবারিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

পারিবারিক ওই সূত্র জানায়, আগামী শনিবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে আনিসুল হকের মরদেহ ঢাকায় আনা হবে। বিমানবন্দর থেকে মরদেহ তার বাসায় নেওয়া হবে। ওই দিন বাদ আসর তাকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

এর আগে, গত মঙ্গলবার অসুস্থ অবস্থায় হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন তিনি লন্ডনে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

প্রসঙ্গত, মেয়র আনিসুল হক সেরিব্রাল ভাসকুলাইটিসে (মস্তিষ্কের রক্তনালির এক ধরনের প্রদাহ) আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত মেডিসিনের প্রভাবে তার শরীরের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ কারণেই তিনি ইনফেকশনে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

কিছুটা শারীরিক অসুস্থতা নিয়েই গত ২৯ জুলাই ব্যক্তিগত সফরে সপরিবারে লন্ডন যান আনিসুল হক। দেশে চিকিৎসকরা তার সমস্যাটি শনাক্ত করতে পারেননি। পরে সেখানে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশ টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থাপনার মাধ্যমে বিপুল জনপ্রিয়তা পান আনিসুল হক। এরপর তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায় মনোনিবেশ করেন। ব্যবসায়ী হিসেবে সুনাম অর্জনের পর এ খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তিনি ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিসিআই’র সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন। ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন তিনি।

মেয়র হিসেবে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সাত রাস্তার মোড় থেকে ট্রাক স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করে রাস্তা নির্মাণ, গাবতলীতে ট্রাক স্ট্যান্ড সরিয়ে রাস্তা সংস্কার, হলি আর্টিজানের ঘটনার পর কূটনৈতিক অঞ্চল হিসেবে গুলশান-বারিধারার নিরাপত্তা জোরদার, গুলশান-বনানী এলাকা থেকে পুরনো বাস সরিয়ে ‘ঢাকা চাকা’ নামের নতুন এসি বাস সার্ভিস চালু, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনভুক্ত বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ, ‘সবুজ ঢাকা’ নামের বিশেষ সবুজায়ন কর্মসূচি গ্রহণ করে নাগরিকমহলে বিশেষ প্রশংসিত হন তিনি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন সমস্যায় দিনে-রাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েও নাগরিকবাসীর আস্থাভাজন হয়েছেন তিনি।

 

টিকে/এসএইচ