ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

রাজধানীর ৯৭ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ দুদকের

প্রকাশিত : ০৪:৫৪ পিএম, ৪ ডিসেম্বর ২০১৭ সোমবার | আপডেট: ০৫:০২ পিএম, ৪ ডিসেম্বর ২০১৭ সোমবার

কোচিং বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থেকে অনৈতিকভাবে অর্থ উপার্জনের অভিযোগে রাজধানীর নামিদামি  আট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৯৭ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধান, পরিচালনা পর্ষদ এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে এই সুপারিশ জানিয়ে আলাদা চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের উপ-পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।

রোববার মন্ত্রিপরিষদ সচিব বরাবরে দুদক সচিব মো. শামসুল আরেফিনের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, এমপিওভুক্ত চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৭২ জন শিক্ষক এবং সরকারি চারটি বিদ্যালয়ের ২৫ জন শিক্ষক কোচিং বাণিজ্যে যুক্ত বলে  প্রমাণ পেয়েছে দুদক।

অভিযুক্তরা হলেন, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৩৬ জন, মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২৪ জন, মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২ জন, উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৫ জন, রাজউক মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ জন, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৭ জন, গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের ৮ জন শিক্ষক এবং খিলগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১ জন।

দুর্নীতি দমন কমিশন চিঠিতে বলা হয়েছে, কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করতে হলে এই শিক্ষকদের এক বিদ্যালয় থেকে অন্য বিদ্যালয়ে, এক শাখা থেকে অন্য শাখায়, দিবা শিফট থেকে প্রভাতী শিফটে বা প্রভাতী শিফট হতে দিবা শিফটে নির্দিষ্ট সময় পর পর বদলি করা যেতে পারে।

ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ‘কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা-২০১২’ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে দুদক। এছাড়াও কোচিং বাণিজ্য বন্ধে সরকারকে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে।

গত ফেব্রুয়ারি থেকে দুদক ঢাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি বাণিজ্য, কোচিং বাণিজ্য ও নিয়োগ বাণিজ্যের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের একটি অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করে। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী এক কর্মস্থলে শিক্ষকদের তিন বছর হলেই তাদের বদলি করার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক চাপ, তদবির ও অনৈতিক আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে অনেকের বদলি আটকে থাকার মতো বিষয়গুলো উঠে আসে দুদকের তদন্তে।

একে// এআর