ঢাকা, শুক্রবার   ২৭ জুন ২০২৫,   আষাঢ় ১২ ১৪৩২

পড়াশোনাকে কাজে লাগাতে হবে:  অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১০:৪৭ পিএম, ৫ ডিসেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার | আপডেট: ১১:৫৩ পিএম, ৫ ডিসেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, “পড়াশোনার বিষয় মুখ্য নয়; মুখ্য হচ্ছে পড়াশোনাকে কাজে লাগানো। কে কোন বিষয়ে পড়ল তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জ্ঞান অর্জন এবং অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগানো।” রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে “মেধাবী সন্তান সংবর্ধনা-২০১৭” শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

২০১৭ সালে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং ইংরেজি মাধ্যমের এ-লেভেল ও ও-লেভেল পরীক্ষায় অফিসার্স ক্লাবের সদস্যদের সন্তানদের মধ্যে যারা কৃতিত্বপূর্ণ ফল অর্জন করেছে তাদেরকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, “আগের সময়ের মত এখন আর এটা সম্ভব নয় যে, একজন মানুষ সব বিষয়ে জ্ঞান রাখবে। এখন জ্ঞানের সমারোহ অনেক বড়। যেখান থেকেই সম্ভব সেখান থেকেই জ্ঞান আহরণ করতে হবে”।

এসময় পড়াশোনার বিষয়ের থেকে পড়াশোনার গুরুত্বের প্রতি জোর দিয়ে তিনি বলেন, “আমি ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র ছিলাম। সাহিত্য চর্চাও করেছি। এখন দেশের অর্থমন্ত্রী। তাই বিষয়কে বড় করে না দেখে আমাদেরকে দেখতে হবে কীভাবে পড়াশোনা করা যায়।”

এসময় তিনি কৃতি শিক্ষার্থীদের শপথ নিতে আহ্বান জানান তারা যেন তাদের মেধার বিকাশের জন্য আগামীতেও কাজ করে যায়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম হোসেন খান। উপস্থিত কৃতি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “আমাদের দেশের মেধাবী সন্তানদের গুণকীর্তন আরও আগে থেকেই সবথেকে ছড়িয়ে আছে। বিশ্ব বিজেতা আলেক্সান্ডার তৎকালীন বাংলার সেনাদের বীরত্বের গল্প শুনে বিশাখা নদী অতিক্রম করতে সাহস পাননি। বাঙালি জাতি হিসেবে আমরা এক গর্বিত জাতি। তোমারা সেই গৌরব সামনে অব্যাহত রাখবে ।”  

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব এবং ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ শফিউল আলম। তিনি বলেন, “অভিভাবকদের মধ্যে যে উৎসাহ উদ্দীপনা আমরা আজ দেখলাম তা আমাদেরকেও অনুপ্রাণিত করে। আশা করি আজকের এ শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতেও আমাদের মুখ উজ্জ্বল করবে”।

অনুষ্ঠানে ১৭১ জন কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট তুলে দেন অর্থমন্ত্রী মুহিত। এরপর জনপ্রিয় শিল্পী আখি আলমগীরের প্রযোজনায় সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

 

এসএইচএস/এসএইচ