ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

এই দিনে হানাদারমুক্ত হয় গোপালগঞ্জ ও সাতক্ষীরা

প্রকাশিত : ০৭:৪৫ পিএম, ৭ ডিসেম্বর ২০১৭ বৃহস্পতিবার

বিজয়ের আগেই ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর হানাদারমুক্ত হয় গোপালগঞ্জ ও সাতক্ষীরা জেলা। গোপালগঞ্জ মুক্ত হওয়ার আগে এই অঞ্চলে পাকিস্তানী বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের বেশ কয়েকটি লড়াই হয়। আর সাতক্ষীরার দামাল ছেলেরা আজকের দিনে শহরে ওড়ায় স্বাধীন বাংলার পতাকা।

মুসলিম লীগ নেতাদের সহযোগিতায় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ৩০ এপ্রিল গোপালগঞ্জে প্রবেশ করে। শহরের ব্যাংক পাড়ায় বঙ্গবন্ধুর বাড়ি পুড়িয়ে দেয়। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে হত্যা, নির্যাতন ও লুটপাট শুরু করে। উপজেলা পরিষদের মিনি ক্যান্টনমেন্টে সাধারণ মানুষকে ধরে নিয়ে হত্যা করে গণ-কবর দেয়।

৬ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের শহরে প্রবেশের খবর পেয়ে গভীর রাতে ক্যান্টমেন্ট ছেড়ে পালিয়ে যায় পাকস্তানী সেনারা। ৭ ডিসেম্বর ভোরে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন বাংলার দামাল ছেলেরা।

সাতক্ষীরায় মুক্তিযোদ্ধাদের হামলায় টিকতে না পেরে ৬ ডিসেম্বর রাতে বাঁকাল, কদমতলা ও বেনেরপোতা ব্রীজ উড়িয়ে দিয়ে সাতক্ষীরা থেকে পালায় হানাদার বাহিনী। ৭ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলার পতাকা ওড়ায় সাতক্ষীরার মুক্তিকামী জনতা।

কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে পাক ও দোসরদের নির্মমতার স্বাক্ষী সাতক্ষীরার বধ্যভূমি ও গণকবরগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়নি আজও। জেলা প্রশাসন নির্মিত শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে রাজাকারের নাম থাকায় ক্ষোভও জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা।

শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নিয়ে বির্তক নিরসন করে অচিরেই তা উদ্বোধনের আশ্বাস দিলেন জেলা প্রশাসক।