ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

রোকেয়া পদক পেলেন যারা

প্রকাশিত : ১২:৩৪ পিএম, ৯ ডিসেম্বর ২০১৭ শনিবার

নারী উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য প্রতিবছরের ন্যয় এ বছরও রোকেয়া পদক দেওয়া হয়েছে দেশের গুণী নারীদের। এবার বেগম রোকেয়া পদক-২০১৭  পেয়েছেন মাহফুজা খাতুন বেবী মওদুদ (মরণোত্তর), চিত্রশিল্পী সুরাইয়া রহমান, লেখক শোভা রাণী ত্রিপুরা, সংগঠক মাজেদা শওকত আলী, সমাজসেবক মাসুদা ফারুক রত্না।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় রোকেয়া দিবস উপলক্ষে আজ সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে  রোকেয়া পদক বিতরণ করেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের উন্নয়নে নারী পুরুষ সবার সমান অবদান রাখতে হবে। এসময় নারীদের নিজ পায়ে দাঁড়ানোর তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।

রোকেয়া পদক (মরণোত্তর) পাওয়া বেবী মওদুদ ২০১৪ সালে ৬৬ বছর বয়সে পরলোক গমন করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি সংসদে সংরক্ষিত আসনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি সাংবাদিকতার পাশাপাশি লেখালেখিতে সক্রিয় ছিলেন।

১৯৯১ সালে নারী কল্যাণ সংস্থা নামের একটি সংগঠন নারী উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য রোকেয়া পদক প্রদান করা শুরু করে। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে সরকারের উদ্যোগে রোকেয়া পদক প্রদান করা শুরু হয়। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে সর্বশেষ রোকেয়া পদক পেয়েছিলেন আরমা দত্ত ও অধ্যাপক নাসিমা বানু (মরণোত্তর)।

১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুরের পায়রাবন্দে এক জমিদার পরিবারে রোকেয়ার জন্ম হয়। একই দিন, ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর তিনি পরলোক গমন করেন। নারীশিক্ষার প্রসারে কাজ করে গেছেন আমৃত্যু। নারীদের দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে বেরিয়ে মাথা উচু করে বাঁচার স্বপ্ন প্রথম দেখিয়েছিলেন বেগম রোকেয়া। তার সম্মানে এই পদক প্রদান করা হয়।

বেগম রোকেয়ার উল্লেখযোগ্য রচনার মধ্যে রয়েছে- মতিচূর (প্রবন্ধ, ২ খণ্ড: ১ম খণ্ড ১৯০৪, ২য় খণ্ড ১৯২২), সুলতানস ড্রিম (নকশাধর্মী রচনা, ১৯০৮), পদ্মরাগ (উপন্যাস, ১৯২৪), অবরোধবাসিনী (নকশাধর্মী গদ্যগ্রন্থ, ১৯৩১) প্রভৃতি। এছাড়া আছে অসংখ্য প্রবন্ধ, ছোটগল্প, কবিতা, ব্যাঙ্গাত্মক রচনা ও অনুবাদ।

এমজে/ এআর