ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ভোলা মুক্ত দিবস পালিত

প্রকাশিত : ০৫:০৫ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০১৭ রবিবার

জেলায় বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ভোলা জেলা মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে রোববার সকালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয় গিয়ে শেষ হয়।

পরে জেলা প্রশাসকের চত্বরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুব্রত কুমার সিকদারের সভাপত্বিতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. সেলিম উদ্দিন।

এসময় উপস্থিতত ছিলেন- মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার দোস্ত মাহামুদ, ডেপুটি কমান্ডার শফিকুল ইসলাম, উপজেলা কমান্ডার মো. অহিদুর রহমান, নিবার্হী মেজিস্ট্রেট আব্দুল হালিম প্রমুখ, মুক্তিযোদ্ধা মো. আনোয়ার হোসেন, সেলিম জমাদ্দার।

এসময় আও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডর এর আহ্বায়ক হামিদুর রহমান হাসিব, যুগ্ম আহ্বায়ক তানজিলুর রহমান, কামরুল ইসলাম, সদস্য সচিব আদিল হোসেন তপু, উপজেলা আহ্বায়ক মো. সোহাগ, সদস্য সচিব মো. শিপন। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষ্যে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মুক্তযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠন।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকহানাদার মুক্ত হয় ভোলা। এপ্রিলের শুরুর দিকে ভোলা ওয়াপদা ভবনে ক্যাম্প করে অবস্থান নেয় পাক হানাদার বাহিনী। ওই ভবনের ২টি কক্ষকে টর্চার সেল বানিয়ে নিরীহ মানুষ কে ধরে এনে নির্যাতনের পর হত্যা করা হত। ওয়াপদা ভবনের পাশেই রয়েছে বধ্যভূমি যেখানে শতশত মুক্তিপাগল মানুষকে হত্যা করে মাটি চাপা দেয়া হয়ে ছিল। ভোলার দেওলা, বাংলাবাজার এবং দৌলতখানের গুপ্তেরগঞ্জ বাজারে সমুখ যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর পাকসেনাদের মনোবল ভেঙ্গে পরে। ভোলার মুক্তিযোদ্ধারা চারদিক থেকে ঘিরে শহর দখলের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে। এমন সময়ে ১০ ডিসেম্বর ভোররাতে ভোলা লঞ্চ ঘাট থেকে লঞ্চ যোগে পাকবাহিনী ভোলা থেকে পালিয়ে যেতে শুরু করে । মুক্তি যোদ্ধারা তাদের আটকানোর চেষ্টা করেও আধুনিক অস্ত্রের কাছে ব্যর্থ হয়। পরে মিত্র বাহিনীকে খবর দেওয়া হলে চাঁদপুরের কাছে মিত্র বাহিনীর বিমান হামলায় পাকসেনাদের বহনকারী লঞ্চটি ডুবে যায়।
পাকবাহিনী পালিয়ে যাওয়ার পর ১০ ডিসেম্বর সকালে কালেক্টরেট ভবনের সামনে পতাকা উড়িয়ে ভোলাকে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করে মুক্তিযোদ্দারা। এভাবেই ভোলা হানাদার মুক্ত হয়।

এসএইচ/