ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

প্রবাসীদের ভোটাধিকারের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০২:২৩ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭ বুধবার | আপডেট: ০৩:২০ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭ বুধবার

আগামী নির্বাচনে প্রবাসীরাও যেন ভোট দিতে পারেন সরকার সেই উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভোট প্রদানের সুযোগ দিতে সরকার বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে। যেসব এলাকা বা দেশে বেশী সংখ্যক প্রবাসী আছে, সেখানে বিশেষ সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে তাদের ভোট প্রদানের বিষয়ে সরকার ভাবছে। তিনি বলেন, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো যেসব দেশে বাংলাদেশি বেশি সেখানে বিশেষ সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়ে ভাবছে সরকার।

আবুল মাল আব্দুল মুহিত আরও বলেন, আগামী বাজেট হয়তো বা আমার ঘোষণার শেষ বাজেট হবে। এ বাজেটে সরকার প্রবাসীদের বিনিয়োগে আগ্রহী করতে তাদের প্রণোদনার মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থে আমার দেশের অর্থনীতির চাকা চাঙ্গা। তাই তাদেরকে যেন আমরা কখনও লেবার না বলি।

‘এনগেইজমেন্ট অব নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশী ইন ন্যাশনাল ডিভলপমেন্ট: স্ট্রাটেজিক, চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব কাজী শফিকুল আজমের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে ওয়েলফেয়ার এন্ড অভারসিজ ইমপ্লয়মেন্ট সেক্রেটারি ড. নমিতা হালদার, ইউএনডিপি বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জী, ইউএনের সাবেক কর্মকর্তা ড. একে আব্দুল মোমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারে উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে বলা হয়, প্রবাসীদের জন্য আমাদের অনলাইন তথ্য ডাটাবেজ নেই, তাদের তথ্য পেতে অনেক বেগ পেতে হয়, বিদেশে প্রবাসীদের জন্য অনেকগুলো এসোসিয়েশন গড়ে  উঠেছে। যারা আবার বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিবেচনায় বিভক্ত। এ বিভক্তির কারণে তারা প্রবাসীদের জন্য প্রকৃত কিছু করতে পারে না। তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগেরও কোনো ব্যবস্থা নেই। এ ধরণের ১৩টি চ্যালেঞ্জের বিষয় উল্লেখ করা হয়।

চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলার মাধ্যমে খুব দ্রুত প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রয়োগের যথা ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া হয়।সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য ডাটাবেজ তৈরিতে দূতাবাস, মিশন এবং সরকারের পরামর্শক পর্যায়ের সাহার্য নেয়ারও কথা বলা হয়।

আরকে// এআর