ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য বাস্তবায়নে রাষ্ট্রপতির আহ্বান

প্রকাশিত : ১০:১২ এএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭ শনিবার | আপডেট: ১০:৩২ এএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭ শনিবার

রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “আসুন, মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরো বেশি অবদান রাখি, দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিই সমৃদ্ধ আগামীর পথে।” আজ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি তাঁর দেওয়া বাণীতে এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেছেন, বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা। তবে তা একদিনে অর্জিত হয়নি। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে ও নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, “আমি আজ বিনম্রচিত্তে পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যাঁর অপরিসীম ত্যাগ ও আপসহীন নেতৃত্বে পৃথিবীর মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। আমি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করি মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের, যাঁদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা।”

আব্দুল হামিদ বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতার হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে সামরিক স্বৈরশাসন ও অগণতান্ত্রিক সরকারের উত্থান ঘটায় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে প্রত্যাবর্তন করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেন। সরকারের যুগোপযোগী পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ফলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নানা সাফল্য অর্জিত হচ্ছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো বৃহৎ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২৪ সালে দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। অচিরেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে স্থাপিত হবে। আর্থসামাজিক নানা খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতি আজ বিশ্বদরবারে ‘রোল-মডেল’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারোর সাথে বৈরিতা নয়,’ জাতির পিতা ঘোষিত এ মূলমন্ত্রকে ধারণ করে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি পরিচালিত হচ্ছে।”

 

 

একে/এমআর