ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ফটোগ্রাফি থেকে সফল নারী উদ্যোক্তা পৌশী

প্রকাশিত : ১০:১২ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৭:০৬ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ বুধবার

নিজেকে স্বাবলম্বী করার যাত্রা শুরু ফটোগ্রাফি দিয়ে। মাত্র ছয় হাজার টাকায় শুরু করা সেই যাত্রা আজ লাখো টাকায় গিয়ে পৌঁছেছে। নিজেকে গড়ে তুলেছেন একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে। সংক্ষেপে এতক্ষণ যার কথা বলা হলো তিনি হলেন মাহিয়া নাইনান পৌশী। পৌশী জ্যামি নামেই বেশি পরিচিত তিনি। ২০১৪ সালে “পৌশী’জ” নামে একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। সম্প্রতি ইটিভি অনলাইনের সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে নিজের পথচলার বিস্তারিত আলাপ করেন পৌশী। সাক্ষাৎকার নেন ইটিভি অনলাইনের সহসম্পাদক সোলায়মান শাওন

ইটিভি অনলাইন: শুরুতেই আপনার শুরুর গল্পটা জানতে চাইব।

পৌশী: আমার শুরুটা হয় মূলত ফটোগ্রাফি দিয়ে। এক বন্ধু আমাকে একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা উপহার দেয়। তারপরই অনেকটা শখের বশেই ফটোগ্রাফি শুরু করি। সেখান থেকেই আস্তে আস্তে উদ্যোক্তা হয়ে ওঠা। প্রথম একটি বিয়েতে ফটোগ্রাফির জন্য পেয়েছিলাম ছয় হাজার টাকা। সেই টাকা দিয়েই শুরু করি ব্যবসা। এক হাজার টাকা করে ছয়টি জামা বানাই আমি। সেগুলোর প্রতিটিকে দুই হাজার টাকা করে মোট ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করি। এরপর পুরো ১২ হাজার টাকাই আবার বিনিয়োগ করি। এবার বানাই ১২টি জামা। বিক্রি করি প্রায় ২৪ হাজার টাকায়। সবশেষ এই টাকা দিয়ে নতুন করে বিনিয়োগ করি। আর সেগুলো বিক্রি হয় প্রায় ৪২ হাজার টাকায়। এভাবেই আস্তে আস্তে শুরু হয়।

ইটিভি অনলাইন: কবে থেকে আপনি কাজ শুরু করেন? আর ফটোগ্রাফি থেকে জামা-কাপড়ের উদ্যোক্তা হলেন কেন?

পোশী: আমি যখন সপ্তম শ্রেণিতে পড়ি তখন থেকেই ফটোগ্রাফি শুরু করি মূলত। আর ২০১৪ সাল থেকে অনলাইনে মেয়েদের জামা-কাপড় বিক্রির ব্যবসা শুরু করি। আমি ছোটবেলা থেকেই নিজের জামা নিজে ডিজাইন করে বানিয়ে নিতাম। টুকটাক নিজে বানাতেও পারতাম। যেহেতু এ কাজটা ছোটবেলা থেকে আমি করে আসছি এবং খুব ভাল পারতাম তাই অনেকেই পরামর্শ দিত এ খাতেই কাজ করার। এরজন্যই আমি মূলত মেয়েদের পোশাক বিক্রির উদ্যোগ নেই।

ইটিভি অনলাইন: আপনি অনলাইনে উদ্যোক্তা হবার আইডিয়া পেলেন কীভাবে?

পৌশী: আমি ২০০৮ সাল থেকেই ফেসবুক ব্যবহার করি। নিজের ডিজাইন করা পোশাক পরে ছবি দিতাম ফেসবুকে। সেখানে যারা লাইক বা কমেন্ট করত তাদের বেশিরভাগই আমার নিজের থেকে আমার পোশাকের ব্যাপারে কথা বলত। বেশিরভাগ ইতিবাচক কথা বলত আমার পোশাক নিয়ে। এর ডিজাইন নিয়ে। সেসময় অনলাইনে কেনাবেচা হত না। তাদের অনেক আফসোস দেখতাম যে তারা এ ধরনের ডিজাইনার ড্রেস কোথা থেকে কিনবে তা তারা জানত না। এরমধ্যে অনেকেই আমাকে বলত যে, এসব পোশাক যেহেতু আমি নিজেই ডিজাইন করি এবং কিছু কিছু নিজেই বানাই তাই আমি এগুলোকে বিক্রির উদ্যোগ নিতে পারি। আর যেহেতু তখন মাত্র শুরু এবং আমি নিজেও অনেক ছোট তাই বিক্রির ভাল একটি প্ল্যাটফর্ম হয়ে ওঠে ফেসবুক। আমাকে কোন ওয়েবসাইট বা পেইজ খুলতে হত না। আমি পোশাক পরে আমার নিজের ফেসবুক একাউন্টে যে ছবি দিতাম সেখান থেকেই সব বিক্রি হয়ে যেত। ২০১৪ সালে যখন আমি অনেকটা গোছালোভাবে কাজ শুরু করলাম তখন মাত্র এক মাসেই আমার ১০০টি পোশাক বিক্রি হয়ে যায়।

ইটিভি অনলাইন: আপনার কাজের ব্যাপারে কিছু বলুন।

পৌশী: আমি মূলত মেয়েদের পোশাক এবং জুতা নিয়ে কাজ করি। সবাইকে ডিজাইনার ড্রেস দেই আমি। আর একজন ক্রেতা যে নকশা বা ডিজাইনের পোশাক চান তার জন্য সেই একটি ডিজাইনেই পোশাক তৈরি করা হয়। এরকম এক একটি পোশাকের দাম হয় তিন হাজার টাকার মত। আপনারা একটু বাজার যাচাই করলে দেখবেন, ডিজাইনার ড্রেস হিসেবে এগুলোর দাম অনেক কম। এছাড়াও যারা আমার মত ছাত্রী, এখনও পড়াশোনা করছেন তাদের জন্য  এক হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার টাকার মধ্যে পোশাক বানাই আমি। এর বাইরে আছে ডিজাইনার জুতা। আমি আরেকটি কাজ করি তা হচ্ছে ডিজাইনার ওয়েডিং ড্রেস। অর্থাৎ বিশেষ নকশা করা বিয়ের পোশাক। আমার এসব পোশাকের দাম কমপক্ষে এক লাখ টাকা থেকে শুরু হয়। গড়ে একেকটির দাম এক লাখ ২০ হাজার টাকা। আমি এখন পর্যন্ত এমন সাতটি ড্রেস বানিয়েছি এবং আমার গ্রাহকদের ডেলিভারি দিয়েছি। অনলাইনে এমন দামি ড্রেসের কাজ নেওয়া এবং তা সফলভাবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ডেলিভারি দেওয়া নজিরবিহীন।

ইটিভি অনলাইন: কীভাবে এত কিছু দেখভাল করেন?

পৌশী: পোশাকের জন্য আমার একটি কারখানা আছে খিলখেত এলাকায়। আর জুতার কারখানাটি হচ্ছে পুরান ঢাকার নাজিরা বাজারে। দুটি কারখানাই যাত্রা শুরু করে ২০১৫ সালে। প্রথমটি বছরের শুরুর দিকে আর অপরটি বছরের মাঝামাঝি সময়ে। আমি বলব আমি একটি ভাল দল নিয়ে কাজ করি। এছাড়াও আমার গ্রাহকরাও আমাকে অনেক সাহায্য করেন। তাদের সবার সহযোগিতায়ই আমি টুকটাক কিছু করতে পারছি।

ইটিভি অনলাইন: আপনার দলে নারীরাও কাজ করে বলে জেনেছি আমরা। তাহলে নারীদের কর্মসংস্থানেও অবদান রাখছে আপনার প্রতিষ্ঠান।

পৌশী: হ্যাঁ আমার পোশাকের কারখানায় সাত জন নারী দর্জি কাজ করেন। সাত জন সংখ্যাটা হয়ত এখনও অনেক কম শোনা যায়, তবে সামনে এ সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে আমার। এখানে একজন মাস্টার দর্জির তত্ত্বাবধানে আরও ছয় জন নারী দর্জি কাজ করছেন।

ইটিভি অনলাইন: আপনার এসব কারখানায় আপনার থেকে বেশি বয়সী কর্মচারীরা কাজ করেন। আপনি খুবই অল্প বয়সী একজন উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী। কীভাবে দেখেন পুরো বিষয়টিকে। অনেক সময়ই হয়তো ছোট বলে সমস্যায় পরতে হয় আপনাকে। তখন কী করেন?

পৌশী: আসলে সত্যি কথা হচ্ছে যে, ছোট বলেই হয়তো আমার সমস্যা আরও কম। অনেকটা স্নেহ করেই হয়তো অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। তারপরেও আমি বলব মানুষের সিনিওরিটি তার বয়সে না বরং তার কর্ম দক্ষতায়। কখনও কখনও টুকটাক সমস্যা হয় না যে, তা না। তবে সবকিছু ভাল চলছে।

ইটিভি অনলাইন: আপনি কী শুধু অনলাইনেই কার্যক্রম করেন নাকি কোন শো-রুম বা দোকান আছে আপনার?

পৌশী: আমার শুরুটা মূলত অনলাইনে। তবে এর বাইরে বনানীতে যৌথভাবে আমার একটি শো-রুম ছিল। ২০১৬ এর শুরুর দিকে শো-রুমটি নেই আমি। তবে পড়াশোনার ব্যস্ততার কারণে সেবছরই শেষের দিকেই দোকানটি ছেড়ে দেই আমি। তবে অতি শিগগিরই ধানমন্ডির দিকে একটি শো-রুম চালু করার পরিকল্পনা আছে।

ইটিভি অনলাইন: পড়াশোনার কথার প্রসঙ্গেই জানতে চাই আপনার বিষয়ে জানতে চাই।

পৌশী: আমি মূলত ইংরেজি মাধ্যমের ছাত্রী। ২০১৩ সালে বটমলি হোমস গার্লস হাই স্কুল থেকে ও-লেভেল এবং একই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০১৬ সালে এ-লেভেল সম্পন্ন করি। এখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে অনার্স লেভেলে পড়াশোনা করছি।

ইটিভি অনলাইন: একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি। অনেকেই মনে করেন অনলাইনে কেনা পণ্যের মান বাস্তবের সঙ্গে মিলে না এবং দামও বেশি। আপনি কী বলবেন?

পৌশী: দেখেন ছবি তোলায় আলোর তারতম্যের কারণে কিছু পণ্য ছবির থেকে বাস্তবে কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। তবে তার অনুপাত ১৯ থেকে ২০ কিংবা ১৮ থেকে ২০। আর দামের কথা যদি বলি তাহলে বলব যে, ভাল জিনিসের দাম একটু বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক। তারপরেও আমরা যারা অনলাইনে কাজ করি আমাদেরকে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। গ্রাহক পাওয়ার থেকেও গ্রাহক ধরে রাখা আমাদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যে কারণে আমাদের স্বার্থেই আমরা চাই পণ্যের দাম গ্রাহকদের নাগালের মধ্যে রাখার। আর দামি যেসব পণ্য তার উৎপাদন ব্যয়ও বেশি। যে কারণে পণ্যের দাম বেড়ে যায়। যেমন বিয়ের যে লেহেঙ্গাটি আমি এক লাখ টাকায় বিক্রি করি তার নকশা, কাপড় এবং সরঞ্জামেই দেখা যায় ৭০ হাজার টাকার মত লাগে। এরপরও তো আরও খরচ আছে। এ বিষয়গুলোও সবাইকে বিবেচনা করতে হবে।

ইটিভি অনলাইন: কিছুদিন আগে আপনি প্রতিষ্ঠিত নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি সম্মেলন করেন। এমন একটি উদ্যোগের পরিকল্পনা করলেন কীভাবে?

পৌশী: নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে আমি একটি দল চালু করেছি। এর নাম ‘ফিমেল এন্টারপ্রেনার্স সোসাইটি’ বা ফেমেনসো। গ্রুপটি চালু করার এক মাসের মধ্যেই আমাদের প্রায় ৪০ হাজার সদস্য নিবন্ধিত হয়। নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে যত গ্রুপ আছে তার মধ্যে শুরুর এ সংখ্যাটি উল্লেখযোগ্য। এখানে অনেক নতুন নারী উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসার অনেক সমস্যা আমাদের সামনে তুলে ধরেন। বিভিন্ন বিষয়ে তারা সমাধান চাইত এ গ্রুপে। সেসব সমস্যার সমাধান করার লক্ষ্যেই একটি সেমিনার বা কর্মশালার উদ্যোগ নেই আমি।

বাংলাদেশের প্রায় ২১ জন প্রতিষ্ঠিত নারী ও দুই জন পুরুষ উদ্যোক্তাকে আলোচক হিসেবে আমন্ত্রণ করি এ সেমিনারে। এখানে তারা তাদের ব্যবসার বিভিন্ন দিক নতুন এবং তরুণ নারী উদ্যোক্তাদের সামনে তুলে ধরেন। তারা কীভাবে ব্যবসা শুরু করেছেন, কোন একটি নির্দিষ্ট পণ্যের জোগান তারা কীভাবে পান সেসব বিষয় তারা তুলে ধরেছেন। আবার যারা ব্যবসায় সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন তারা তাদেরকে প্রশ্ন করেন। আমরা মূলত চেয়েছি নিজেরা নিজেদের সমস্যা চিহ্নিত করে এবং সেগুলোর সমাধান করে একসঙ্গে কাজ করে যাওয়া। আর ব্যক্তিগতভাবে আমি বিশ্বাস করি, একা কখনও উন্নতি করা যায় না। আর সেটা উচিতও না। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ওপরের দিকে উঠতে হবে। কথায় বলে, লিডার্স ক্রিয়েট লিডার্স; নট ফলোয়ার্স। আমি সেটা মেনে চলার চেষ্টা করি।  

ইটিভি অনলাইন: জানতে চাই আপনার এসব কাজের অনুপ্রেরণা কী বা কে?

পৌশী: সত্যি কথা বলতে আমি সবথেকে বেশি অনুপ্রাণিত হই পরিবার থেকে। আমার বাবা, বোন এবং আমার এক বন্ধু আমাকে সবথেকে বেশি অনুপ্রেরণার জায়গা। এর বাইরে আমি একজনের নাম উল্লেখ করতে চাই। তিনি হচ্ছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা নারী উদ্যোক্তারা আজ যে স্বর্ণযুগে আছি তার কৃতিত্ব বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। আমি একজন উদ্যোক্তা হিসেবে তাকে খুবই অনুসরণ করি এবং তার দ্বারা অনুপ্রাণিত হই।

ইটিভি অনলাইন: তাহলে আপনি আপনার পরিবার থেকে অনেক সমর্থন পান বলে মনে হচ্ছে।

পৌশী: হ্যাঁ আমি পরিবারের সমর্থন না পেলে এতদূর আসতে পারতাম না হয়তো। অনেকেই পরিবারের সাপোর্ট বা সমর্থন পায় না। তারাও কাজ করে যায়। আমি এদিক থেকে ভাগ্যবতী বলব নিজেকে যে আমি আমার পরিবারের সদস্যদের ব্যাপক সহযোগিতা এবং সমর্থন পাই। বিশেষ করে আমার বাবা ও আমার বড় বোনের। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি মেয়ে হয়ে রাত ১১টা বা ১২টায় বাসায় আসি। তারা মেনে নেয়। বুঝে যে তাদের মেয়ে কাজে ব্যস্ত। এটুকুই তো অনেক।

ইটিভি অনলাইন: আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

পৌশী: আগামী বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশের ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপের সঙ্গে জড়িত নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি সম্মেলন করতে চাই। এর নাম দিয়েছি ‘বাংলাদেশ অনলাইন গার্লস গ্রুপ সামিট-১’। চেষ্টা করব এখানে সব নারী উদ্যোক্তাদের সম্পৃক্ত করতে। বেশ বড় আকারে করার পরিকল্পনা আছে। এখন এ নিয়েই কাজ করছি।  

ইটিভি অনলাইন: সবশেষে জানতে চাইব যে, নতুন উদ্যোক্তাদের প্রতি আপনার পরামর্শ কী হবে?

পৌশী: নতুনদের উদ্দেশ্যে আমার একটি পরামর্শ থাকবে যে, আপনারা যে কাজটি ভাল পারেন সেটি নিয়েই কাজ করুন। যে কাজটি আপনি বুঝেন বা যে কাজটির প্রতি আপনার ভাললাগা ভালবাসা আছে সেটিকে নিয়েই নতুন কোন উদ্যোগে কাজ করুন। আর অবশ্যই অবশ্যই কাজ বুঝুন আগে। বিনিয়োগ খুব বড় বিষয় না। বরং কাজ এবং আইডিয়াই হচ্ছে বড় বিষয়। সমস্যা থাকবে। তবে ভালবাসা নিয়ে কাজ করলে সেগুলো সরেও যাবে।

//এসএইচএস//এসএইচ