মাহবুবুল হক শাকিলের ৪৯তম জন্মোৎসব অনুষ্ঠিত
প্রকাশিত : ১১:৩৬ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ বুধবার | আপডেট: ০২:৩৯ পিএম, ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ বৃহস্পতিবার
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী প্রয়াত মাহবুবুল হক শাকিলের ৪৯তম জন্মোৎসব পালিত হয়েছে। বুধবার বিকেলে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে ‘মাহবুবুল হক শাকিল সংসদ ’ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। প্রধান আলোচক ছিলেন ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, মাহবুবুল হকের পিতা জহিরুল হক খোকা, প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত সিকদার, সাংবাদিক জ ই মামুন, সাংসদ ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পি, শাহজাদা মহিউদ্দিন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘শাকিল আমার ৩৪ বছরের ছোট। তার সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। ও যেকোনো কাজ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতো। তার উন্নত মানসিকতা আমাকে আকৃষ্ট করেছে। এখানেই তার বাহাদুরি। তার সার্থক জীবনের অংশীদার হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি।’
সংসদ সদস্য ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পি বলেন, ‘শাকিল জোছনা, বৃষ্টি, স্লোগান ভালোবাসতেন। আমি জানি না সে বৃষ্টি হয়ে ঝরবে কি না? জানি না সে জোছনায় হাসবে কি না? আরেকজন শাকিল আসবে কি না? শাকিলের নির্লোভ চেতনা ও স্বপ্নগুলো পূরণ হোক।’
অন্যান্য বক্তারা বলেন, বার্ধক্যকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তিনি জীবনের মধ্যগগণে চলে গেছেন। তার মতো ক্ষণজন্মা পুরুষ খুব কমই আসে। তিনি রাজনীতি ও সাহিত্যে সমান গতিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। সবাইকে আপন করার যে অপার ক্ষমতা তার মধ্যে ছিল, সেটা খুব কম মানুষের থাকে।
মাহবুবুল হক শাকিলের তিনটি প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ হলো, ‘খেরোখাতার পাতা থেকে’, ‘মন খারাপের গাড়ি’ ও ‘জলে খুঁজি ধাতব মুদ্রা’।
মাহবুবুল হক শাকিল ১৯৬৮ সালের ২০ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী গণঅভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোতে রাজপথেও সক্রিয় ছিলেন। লেখনীর মাধ্যমে তিনি এদেশের তরুণ পাঠক সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরেছিলেন। ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর আকম্মিকভাবে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
কেআই/ডিডি