ঢাকা, শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২০ ১৪৩১

বাংলাদেশ বড় ধরনের ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রয়েছে বলছেন বিশেষজ্ঞরা

প্রকাশিত : ১১:১১ এএম, ১৮ এপ্রিল ২০১৬ সোমবার | আপডেট: ১১:১১ এএম, ১৮ এপ্রিল ২০১৬ সোমবার

প্রতিবেশী দেশগুলোতে একের পর এক বড় ধরণের ভূমিকম্প হওয়ায় ঝুঁকি বাড়ছে বাংলাদেশেও। ভূগর্ভে ফাটল রেখার চিত্র বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বড় ধরনের ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। আর অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণের ফলে রাজধানীসহ বড় শহরগুলোতে ঘটতে পারে ব্যাপক প্রাণহানি। প্রতিনিয়ত পরিবর্তন ঘটছে ভূ-অভ্যন্তরে। আর প্লেটের উত্থান-পতনে কেঁপে উঠছে পৃথিবী। জাপানের পর ইকুয়েডরে ভূমিকম্পে প্রাণহানির পাশাপাশি হয়েছে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি। এছাড়া, ১৩ এপ্রিল মিয়ানমারে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পে একসাথে কেঁপে উঠে ভারত এবং বাংলাদেশও। এর আগে ২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিল ভূকম্পনে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় হিমালয় কন্যা নেপাল। প্রতিবেশি দেশগুলোতে বড়মাপের ভূমিকম্পে চিন্তার ভাঁজ বিশেষজ্ঞদের কপালে। কয়েকটি গবেষেণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের মধ্যে সবচে বেশি কম্পন হয় সিলেট এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষে ছোট আকারের তিনটি প্লেট বাউন্ডারি রয়েছে। এগুলো হলো- ১. হিমালয়ান ফ্রন্টাল থ্রাস্ট, ২. আরাকান ব্লাইন্ড থ্রাস্ট, ৩. আরাকান মেগা থ্রাস্ট। এসব প্লেটে ৮ মাত্রার ভূ-কম্পন হলে বাংলাদেশে অনুভূত হবে ৭ বা তারও বেশি মাত্রায়। এমন পরিস্থিতিতে দুর্যোগ পরবর্তী অবস্থায় উদ্ধার কার্যক্রমে কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে, দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় দমকল বাহিনীর পাশাপাশি অন্যান্য বাহিনী যাতে দ্রুত অংশ নিতে পারে সেজন্য সমন্বিত কার্যক্রমের উপর জোর দিলেন ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক। একইসঙ্গে ভবন নির্মাণে নকশা অনুসরণ এবং ভূমিকম্পের সময় খোলা জায়গায় অবস্থান নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।