ঢাকা, রবিবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

বাংলা একাডেমি সম্মানসূচক ফেলোশিপ পেলেন ৭ বিশিষ্ট ব্যক্তি

প্রকাশিত : ১১:২৯ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭ শনিবার

দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সাত বিশিষ্টজনকে বাংলা একাডেমি সম্মানসূচক ফেলোশিপ-২০১৭ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া আরো তিনজনকে বাংলা একাডেমি পরিচালিত পৃথক তিনটি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। শনিবার ৩০ ডিসেম্বর বাংলা একাডেমির সাধারণ পরিষদের ৪০ তম বার্ষিক সভা বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এ সস্মাননসূচক ফেলোশিপ প্রদান করা হয়।

বাংলা একাডেমি সম্মানসূচক ফেলোশিপ ২০১৭ প্রাপ্তরা হচ্ছেন : ইকবাল বাহার চৌধুরী (সাংবাদিকতা), প্রতিভা মুৎসুদ্দি (ভাষা-আন্দোলন, নারী নেতৃত্ব এবং শিক্ষা ও সমাজসেবা), অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ্ (চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণা), অধ্যাপক আইনুন নিশাত (পানিসম্পদ বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষাবিদ), ড. নূরুন নবী (মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাহিত্য), হাসান শাহরিয়ার (সাংবাদিকতা) এবং দুলাল তালুকদার (নৃত্যকলা)।

ভাষা সংগ্রামী ও প্রাবন্ধিক আহমদ রফিক প্রথমবারের মতো প্রবর্তিত সাহিত্যিক মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ প্রবন্ধসাহিত্য পুরস্কার ২০১৭, কবি রুবী রহমান মযহারুল ইসলাম কবিতা পুরস্কার-২০১৭, অধ্যাপক সাইফুদ্দীন চৌধুরী ও অধ্যাপক শফিউল আলম সাদত আলি আখন্দ সাহিত্য পুরস্কার ২০১৭, অধ্যাপক আলী আসগর মেহের কবীর বিজ্ঞানসাহিত্য পুরস্কার ২০১৭ এবং জায়েদ ফরিদ উদ্ভিদ স্বভাব বইয়ের জন্য হালীমা-শরফুদ্দীন বিজ্ঞান পুরস্কার ১৪২৪ বঙ্গাব্দ লাভ করেন।

পুরস্কার ও ফেলোশিপপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কারের অর্থমূল্য, সম্মাননাপত্র, সম্মাননা-স্মারক ও ফুলেল শুভেচ্ছা তুলে দেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আনিসুজ্জামান এবং মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান।

অনুষ্ঠানের সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনা এবং পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের মধ্য দিয়ে সভা শুরু হয়। এরপর দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রয়াত গুণী ব্যক্তিদের স্মরণে শোকপ্রস্তাব পাঠ এবং তাঁদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান ২০১৬-২০১৭ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন এবং একাডেমির সচিব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ২০১৭-২০১৮ সালের বাজেট উপস্থাপন করেন।

একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান ২০১৬-২০১৭ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করে বলেন, বাংলা একাডেমি বাঙালি জাতিসত্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষের প্রতীক-প্রতিষ্ঠান। ষাট বছরের ঐতিহ্য ও অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ একাডেমি এখন এক নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। একাডমির অবকাঠামোগত বিপুল উন্নয়নের পাশাপাশি গবেষণামূলক কর্মকাণ্ডে আমাদের সাফল্য দেশ ও বিদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক পরিমণ্ডলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তিনি বলেন, একাডেমির সদস্যরা প্রতিবছর সাধারণ সভায় অংশগ্রহণ করে গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোয় বাংলা একাডেমির অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখে চলেছেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রগতিমুখী চর্চায় এবং বাঙালি সংস্কৃতির অব্যাহত বিকাশে ভবিষ্যতে বাংলা একাডেমি তার কার্যপরিধি আরও বিস্তৃত করবে।

 

টিকে