ডিআইটিএফ
ইতিহাসের বাতায়নে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন
রিজাউল করিম
প্রকাশিত : ১০:১২ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ রবিবার

শুরু হচ্ছে ‘২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা (ডিআইটিএফ)-২০১৮’। মেলায় রয়েছে বিভিন্ন পণ্যের সমাহার, ভোজনপ্রিয়দের জন্য আছে খাবার রেস্টুরেন্ট, ছোটদের বিনোদনের জন্য বিভিন্ন খেলনা, মা ও শিশুদের ক্লান্তি দূর করার জন্য বিশ্রাম কেন্দ্র। আছে ফুল আর নান্দনিক পানির ফোয়ারা। কিন্তু যারা ইতিহাস পিপাসু? যারা এদেশের উৎপত্তি ও শেকড়ের কথা জানতে চায়? তাদের জন্য কী? হ্যাঁ তাদের জন্যও মেলায় আছে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন।
যেখান থেকে জানা যাবে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। জানা যাবে ইতিহাসের বাতায়নে বঙ্গবন্ধুর অবদান কতখানি। দেখা যাবে স্বাধীনতা অর্জনের পরতে পরতে থাকা বঙ্গবন্ধুর দিক নিদের্শনামূলক ভাষণ দেওয়ার ছবি।
প্যাভিলিয়ন অবকাঠামো নির্মাণের দায়িত্বে থাকা শাহনেওয়াজ একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে বলেন, স্বাধীনতার ইতিহাস ধারণ করে প্রতিবারের মতো এবারও বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন করা হয়েছে। তবে এবার গত বছরের তুলনায় জায়গা দ্বিগুণ বাড়ানো হয়েছে। গত বছর এ প্যাভিলিয়নের জন্য জায়গা ছিল ৫০ ফুট বাই ৫০ ফুট। এবার জায়গা বাড়িয়ে ১০০ ফুট বাই ৬০ ফুট করা হয়েছে।
মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে একটু সামনে গেলেই চোখে পড়বে দৃষ্টি নন্দন এ প্যাভিলিয়ন। প্যাভিলিয়নের সামনেই স্থাপন করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য। নজর কাড়া এ ভাস্কর্য দেখতেই দর্শনার্থীরা মেলা উদ্বোধনের আগেই ছুটে চলছেন প্যাভিলিয়নটিতে। কেউ ছবি তুলে নিচ্ছেন ভাস্কর্যের সঙ্গে। প্যাভিলিয়নের ভেতর বঙ্গবন্ধুর কিছু পারিবারিক ছবি ও মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনার ছবি দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন সবাই। প্যাভিলিয়নে রাখা হয়েছে এলইডি মনিটরে একাত্তরের যুদ্ধকালীন সময়ের কিছু দুর্লভ ভিডিও ও ছবি দেখার সুযোগ। প্যাভিলিয়নটির গায়ে খোদাই করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের বিভিন্ন স্থিরচিত্র। প্যাভিলিয়নের পাশে রাখা হয়েছে একটি জলসা। যেখানে বড় আকৃতির একটা নৌকাও রাখা হয়েছে। প্যাভিলিয়নের ভিতরেও রাখা হয়েছে কয়েকটি নৌকা। এসব নান্দনিক ও মনোমুগ্ধকর দৃ্শ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করতে এরই মধ্যে প্যাভিলিয়নটিতে দর্শণার্থীদের ভীড় জমেছে। ভীড় সামলাতে প্যাভিলিয়নের সামনে পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে।
প্যাভিলিয়নে দেখা হয় মিরপুর-১ থেকে আসা তুহিন সরওয়ার। প্যাভিলিয়নের ভিতরে ঘুরে ঘুরে দেখছিলেন তিনি। এরইমধ্যে দেয়ালে খচিত বঙ্গবন্ধুর ছবি দেখে চোখ আটকে যায় তার। পার্শবর্তী লোকের কাছে তিনি জানতে চাইলেন এ ছবিটা বঙ্গবন্ধুর কোন সময়ের? এভাবে প্যাভিলিয়নে আগতদের অনেকে একে অপরকে জিজ্ঞাসা করে জেনে নিচ্ছেন ইতিহাসের না জানা অধ্যায়টি। একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অনেক ইতিহাস আমরা জানি না। মাঝে মধ্যে এমন প্রদর্শনীর আয়োজন করলে তরুণ প্রজন্ম জানবে। তাদের দেশ গড়ার প্রতিজ্ঞা আরও দৃঢ় হবে। কিভাবে আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছেন সেসব ঘটনার ভিডিও যদি দেখানো যায় তাহলে প্রজন্ম শিখতে পারবে।
মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর (ইপিবি) উপ-পরিচালক ও মেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, মেলার অন্যতম আকর্ষণ বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস ধারণে এ প্যাভিলিয়ন হওয়াতে এখানে তরুণপ্রজন্মের বাড়তি আগ্রহ আছে। যে কারণে প্যাভিলিয়নটিতে জায়গা বাড়ানোর পাশাপাশি নিরাপত্তায় পুলিশও বেশি মোতায়েন করা হয়েছে।
আরকে//এসএইচ