রোহিঙ্গাদের রক্ষায় লড়াই ছাড়া বিকল্প ছিল না : আরসা
প্রকাশিত : ০১:৫৪ পিএম, ৭ জানুয়ারি ২০১৮ রবিবার
রাখাইন রাজ্যের মংদুতে রোহিঙ্গা গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ২৭ সেপ্টেম্বরের ফাইল ছবি। রয়টার্স
রোহিঙ্গা মুসলিম বিদ্রোহীরা দাবি করেছে, রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সেনারা যেভাবে হামলা-নির্যাতন চালাচ্ছিল, তাতে নিজেদের সম্প্রদায়ের লোকজনকে রক্ষায় তাদের সামনে লড়াই করা ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা ছিল না। রোহিঙ্গাদের নিজেদের ভবিষ্যত নিয়ে ভাববার পরামর্শ দিয়েছে বিদ্রোহী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি-আরসা। খবর রয়টার্স।
সংগঠনের পক্ষে রোববার রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের নেতা আতা উল্লা সাক্ষরিত টুইটারে দেওয়া এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
টুইটারে বলা হয়েছে, ‘মিয়ারমারের সরকারের উস্কে দেওয়া সন্ত্রাস থেকে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষ জনদেরকে রক্ষায় লড়াই ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না আরসার। বর্তমানে রোহিঙ্গাদের উচিত নিজেদের মানবিক সহায়তার বিষয়ে ও ভবিষ্যত রাজনীতি নিয়ে ভাবা।‘
আরসা শুক্রবারের হামলার দায় স্বীকার করেছে। মিয়ানমার সরকার বলছে, রোহিঙ্গা শরনার্থীদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে তৎপর আরসা।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যে একসঙ্গে ২৪টি পুলিশ ক্যাম্প ও একটি সেনা আবাসে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। পরে বিদ্রোহী রোহিঙ্গাদের সংগঠন আরসা এই হামলার দায় স্বীকার করে। এ ঘটনার পর পরই মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এখনো শরণার্থীদের ঢল অব্যাহত রয়েছে।