ঢাকা, বুধবার   ০১ মে ২০২৪,   বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন হবে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৮:০৮ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৮:৪১ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আপত্তি থাকলে থাকুক, তবুও ব্যাংক কোম্পানি আইনের সংশোধনী করা হবে। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন তিনি।

ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে একসঙ্গে এক পরিবারে চার সদস্য থাকার সুযোগ তৈরিতে এবং পরিচালক পদে একটানা নয় বছর থাকার বিধান রেখে ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধনের ক্ষেত্রে কারও কারও আপত্তি আছে। মন্ত্রী সে বিষয়ে ইঙ্গিত করে বলেন, আপত্তি থাকলে থাকুক, আজ ব্যাংক কোম্পানি আইনের সংশোধনী বিল জাতীয় সংসদে পাস হবে।

প্রসঙ্গত, ব্যাংক কোম্পানির বিদ্যমান আইনে এক পরিবার থেকে সর্বোচ্চ দুজন সদস্য একটি ব্যাংকের পরিচালক হতে পারেন। আর তিন বছর করে পরপর দুই মেয়াদে মোট ছয় বছর একই ব্যক্তি পরিচালক হতে পারেন। এরপর তিন বছর বিরতি দিয়ে আবারও পরিচালক হতে পারেন।

বিলটি পরীক্ষার জন্য পাওয়ার পর গত অক্টোবরে সংসদীয় কমিটির সভাপতি রাজ্জাক বলেছিলেন, কোন যুক্তিতে আইন সংশোধনের এই প্রস্তাব আনা হয়েছে, তা অর্থমন্ত্রীর কাছে জানতে চাইবেন তারা।

তবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে উপস্থিত হননি। তাতে অংশ নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়েছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।

ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ পাস হওয়ার পর থেকে বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরিচালকদের মেয়াদ-সম্পর্কিত ধারাটি পাঁচবার সংশোধন করা হয়েছে।

এই ধারায় ব্যাংকের পর্ষদে একজন পরিচালক কত বছর পরিচালক থাকতে পারবেন, সে কথা বলা রয়েছে। সর্বশেষ ধারাটি সংশোধন করা হয় ২০১৩ সালে।

গত সেপ্টেম্বর মাসে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিলটি উত্থাপন করেন। তবে গত বছরের ৮ মে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সংশোধিত আইনের খসড়া অনুমোদনের পর থেকে ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্টরা সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে আসছেন।

নতুন এই সিদ্ধান্তে বেসরকারি ব্যাংকে ‘পরিবারতন্ত্র’কায়েমের সুযোগ তৈরি হবে বলেও প্রতিক্রিয়া আসে। প্রভাবশালীদের সুযোগ দিতে আইনে এই সংশোধন আনা হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে।

 

আরকে/টিকে