ঢাকা, বুধবার   ০৮ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

ডিএনসিসি উপ-নির্বাচন

আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম

প্রকাশিত : ০৯:৫৬ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ১০:০৭ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার

ঢাকা উত্তর সিটি (ডিএনসিসি) করপোরেশনের উপ-নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে আতিকুল ইসলামের নাম চূড়ান্ত করা হয়।

এর আগে আনিসুল হকের উত্তরসূরি হতে প্রচারে নামার পর আতিকুল গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের ইঙ্গিত পেয়েই মাঠে নেমেছেন তিনি।

রাজনীতিতে আসা আতিকের এক ভাই মো. তোফাজ্জাল ইসলাম সাবেক প্রধান বিচারপতি। তার আরেক ভাই মইনুল ইসলাম সেনাবাহিনীর সাবেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল।

সভা শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা উত্তরে মেয়র পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হবেন আতিকুল ইসলাম।

ডিএনসিসি উপ-নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট করতে আগ্রহী এমন ১৭ প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র জমা দেন। যারা মনোনয়নপত্র জমা দেন, তারা হলেন- বিজেএমইএ’র সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য এইচ বি এম ইকবাল, রাসেল আশেকী, আদম তমিজি হক, মনিপুর স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন, সাবেক অধ্যক্ষ শাহ আলম, এফবিসিসিআইর পরিচালক হেলাল উদ্দিন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বাংলাদেশ টুডের সম্পাদক জোবায়ের আলম, মো. আবেদ মনসুর, মো. ইয়াদ আলী ফকির, শামীম হাসান, মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ (মেহেদী), মো. আবুল বাসার, মো. জামাল ভূঁইয়া, মো. ওসমান গণি ও আসমা জেরিন ঝুমুসহ ১৭ জন।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল আওয়ামী লীগের সমর্থনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আনিসুল হক মেয়র নির্বাচিত হন। গত ৩০ নভেম্বর লন্ডনে মেয়র আনিসুল হক মারা যাওয়ার পর ৪ ডিসেম্বর পদটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

এদিকে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে তাবিথ আউয়ালকে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। সোমবার গুলশান কার্যালয়ে মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগেও ডিএনসিসি নির্বাচনে প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের বিপরীতে অংশ নিয়েছিলেন তাবিথ।

আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ডিএনসিসির মেয়র পদে উপ-নির্বাচনে মোট ২৯ লাখ ৪৮ হাজার ৫১০ জন ভোটার ভোটদানে সুযোগ পাচ্ছেন। ভোটগ্রহণ হবে ১ হাজার ৩৪৯টি কেন্দ্রের ৭ হাজার ৫১৬টি ভোটকক্ষে।

এছাড়া নতুন ১৮টি ওয়ার্ডে ও ৬টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচনে ৫ লাখ ৭১ হাজার ৬৮৪ জন ভোটার ভোটদানের সুযোগ পাবেন।

 

আর/টিকে