ঢাকা, সোমবার   ০৬ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২২ ১৪৩১

রুপা গণধর্ষণ ও হত্যার মামলায় জেরা শেষ

প্রকাশিত : ১০:৩৬ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে ঢাকার আইডিয়াল ল’কলেজের ছাত্রী রুপা খাতুনকে গণধর্ষণ ও হত্যার মামলায় মঙ্গলবার ৬ষ্ঠ বারের মতো আরো চারজন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেছে। এনিয়ে মামলার বাদিসহ ১৯ জনের সাক্ষী ও জেরা সমাপ্ত হলো।

টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া দুপুর ১২ টায় এই চাঞ্চল্যকর মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করেন। জবানবন্দি প্রদানকরী ও জব্দ তালিকার সাক্ষী মো. কিশোর, মো. মান্নান, পুলিশ সদস্য মো. হান্নান ও ময়না তদন্তের চিকিৎসক ডা. সাইদুর রহমান ১৬৪ ধারায় আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করে। পরে আসামী পক্ষ থেকে সাক্ষীদের জেরা সম্পন্ন করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রুপা খাতুনকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্ষণ করে। পরে তাকে হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রেখে যায়। পুলিশ ওই রাতেই তার লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বাদি হয়ে মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

রুপার ভাই ২৮ আগস্ট মধুপুর থানায় এসে লাশের ছবি দেখে রুপাকে সনাক্ত করেন। পরে পুলিশ ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর (৪৫), সুপারভাইজার সফর আলী (৫৫) এবং সহকারি শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) কে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের কাছে তারা রুপাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে। ২৯ আগস্ট বাসের তিন সহকারি শামীম, আকরাম, জাহাঙ্গীর এবং ৩০ আগস্ট চালক হাবিবুর এবং সুপারভাইজার সফর আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তারা সবাই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে আছে।

৩১ আগস্ট রুপার লাশ উত্তোলন করে তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে সিরাজগঞ্জের তাঁরাশ উপজেলার নিজ গ্রাম আসানবাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়।

 

আর