ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

ইংলিশ চ্যানেলে সেতু নির্মাণের প্রস্তাব ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

প্রকাশিত : ০২:২৯ পিএম, ২০ জানুয়ারি ২০১৮ শনিবার

যুক্তরাজ্য আর ফ্রান্সেকে যুক্ত করার জন্য ইংলিশ চ্যানেলের ওপর একটি সেতু নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোর সঙ্গে এক শীর্ষ বৈঠকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই প্রস্তাব দেন।

বরিস বলেন, এই দুই দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য এরকম একটা সংযোগ খুবই দরকার। এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বরিস জনসনের এই প্রস্তাব নিয়ে ব্যঙ্গ করেছেন অনেকে। তবে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রো এই প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন এমন খবরকে অস্বীকার করেছেন তার এক মুখপাত্র।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তৈরি করে তার খরচ মেক্সিকোর কাছ থেকেই আদায় করার কথা বলেছিলেন, অনেকে বরিস জনসনের এই প্রস্তাবকে তার সঙ্গে তুলনা করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্রুপের শিকার হচ্ছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ইমানুয়েল ম্যাক্র ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এই প্রথম যুক্তরাজ্য সফরে করেন। বিবিসির সংবাদে বলা হয়েছে, বরিস জনসন ফরাসী প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্প নিয়ে কথা বলার সময় এই ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাব দেন।

উল্লেখ্য, বরিস জনসন লন্ডনের মেয়র থাকাকালেও এরকম বড় বড় সব অভিনব প্রকল্পের প্রস্তাব দিয়ে আলোচনা-সমালোচনার শিকার হন। লন্ডনে টেমস নদীর মোহনায় কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করে সেখানে বিমান বন্দর তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। হিথ্রো বিমান বন্দরকে সম্প্রসারণের বিকল্প হিসেবে এই প্রস্তাবের পক্ষে তিনি বেশ সরব ছিলেন। লন্ডনের রাস্তায় যে দোতলা রোডমাস্টার বাসগুলো চলতো, সেগুলো প্রত্যাহারের তিন বছরের মাথায় বরিস জনসন মেয়র হয়ে আবার সেগুলো ফিরিয়ে আনেন।

দুই দেশের মধ্যে এরকম একটি ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাব এর আগে ১৯৮১ সালেও দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তখন এটিকে অবাস্তব প্রস্তাব বলে উড়িয়ে দেয়া হয়। কারণ এতে করে নাকি জাহাজ চলাচলে অসুবিধা হতে পারে। ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য এখন সাগরের তলদেশ নিয়ে যাওয়া এক টানেল দিয়ে যুক্ত। চ্যানেল টানেল বা ইউরোটানেল নামে পরিচিত এই টানেল দিয়ে ট্রেন চলাচল করে।

সূত্র: বিবিসি

একে// এমজে