ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

প্রস্তুতির আগেই স্থানান্তর চামড়া শিল্পনগরী: বিসিক চেয়ারম্যান

প্রকাশিত : ০৫:৫৬ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ১০:১০ এএম, ২২ জানুয়ারি ২০১৮ সোমবার

সরকারকে ভুল বুঝিয়ে প্রস্তুতির আগেই সাভারের চামড়া শিল্পনগরী স্থানান্তর করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিসিকের চেয়ারম্যান মুশতাক হাসান মু. ইফতিখার। আজ রোববার রাজধানীর ইমানুয়েল কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

`স্থানান্তরিত চামড়া শিল্পনগরীর ব্যবস্থাপনা ও টেকসই উন্নয়ন` শীর্ষক এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ট্যানার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ। সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিসিকের চেয়ারম্যান মুশতাক হাসান মু. ইফতিখার ও চামড়া শিল্পনগরীর প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ জিয়াউল হক। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, বুয়েটের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনসহ খাত সংশ্লিষ্টরা বক্তব্য দেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইকোলিবান টেকনিক্যাল এক্সপার্ট শিকদার আবু নাসের।

বিসিকের চেয়ারম্যান মুশতাক হাসান মু. ইফতিখার বলেন, চামড়া শিল্পনগরী হাজারীবাগ থেকে সাভারে স্থানান্তরিত করার ব্যাপারে আমি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছিলাম যে, এখনও প্রস্তুত নয় সাভারের নতুন চামড়া শিল্পনগরী। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন অন্যরা বলছে যে কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেছে, আর আপনি বলছেন সম্পূর্ণ হয়নি। সরকারকে এমন ভুল বোঝানোর কারণে পুরোপুরি প্রস্তুতির আগেই সাভারে স্থানান্তরিত হয়েছে প্রকল্পটি।

চামড়া শিল্পনগরীর প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, অনেকগুলো বিষয়ের সমন্বয়ে এমন একটি বড় প্রকল্পের সফলতা আসে। এখানে রাস্তাঘাট, পরিবেশ, বজ্রশোধন সব বিষয় যখন একই সূত্রে এগিয়ে যাবে তখনই সফলতা আসবে। আমরা চাইবো সব পক্ষই যেন এ প্রকল্পের সফলতায় একযোগে কাজ করে।

বুয়েটের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, সাভারে বজ্রশোধন বিষয়টি এখনও অসম্পূর্ণ। আমি অনুরোধ করবো এখানকার সলিড ওয়েস্ট যেন কোন অবস্থাতেই পানির পাইপে আটকে না যায়।

বাংলাদেশ ট্যানার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, সাভারে স্থানান্তরিত চামড়া শিল্পনগরীতে পরিবেশসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা এখনও নিশ্চিত হয়নি। নগরীর এ অসম্পুর্ণতার কারণে বিদেশী ক্রেতা আকৃষ্ট হচ্ছে না। তবে দ্রুত শিল্প নগরীতে প্রয়োজনীয় সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা দিতে পারলে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে ৫ বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব এ খাত থেকে। তিনি চলতি জানুয়ারির মধ্যে বাকী দুটি সিইটিপি চালুর জোর দাবি জানান।

আরকে// এআর