বিনিয়োগে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা চায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা
প্রকাশিত : ০৩:১১ পিএম, ২২ জানুয়ারি ২০১৮ সোমবার

জন্মভূমিতে বিনিয়োগের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা, প্রয়োজনীয় সুযোগ এবং ভোটাধিকার চায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রবাসীদের সংগঠন ‘অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন (আয়েবা)’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রবাসীদের আরও নিবিড় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এবং প্রবাসীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যুতে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এবং একুশে টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক ও সিইও মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, দৈনিক ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, আয়োজক সংগঠনের মহাসচিব কাজী এনায়েত উল্লাহসহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।
কাজী এনায়েত উল্লাহ বলেন, আমরা দেশে বিনিয়োগ করতে চাই। সেজন্য চাই সরকারের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও সুনির্দিষ্ট নীতিমালা। পর্যাপ্ত সহায়তা পেলে আমাদের দেশে বিনিয়োগ বাড়বে। রেমিটেন্সও বর্তমানের ৩২ বিলিয়ন ছাড়িয়ে আরও ১০ বিলিয়ন যোগ হবে।
তিনি বলেন, আমরা জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে ভোটার তালিকায় আমাদের নাম দেখতে চাই। অর্থনীতিতে অবদান রাখার পাশাপাশি ভোটাধিকারের মাধ্যমে রাজনীতিতেও আমরা অংশ নিতে চাই।
মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, প্রবাসীরা আজ আতঙ্কিত। তাদের পরবর্তী প্রজন্ম বাংলাদেশে আসবে কি না তা নিয়ে। যদি তারা না আসে তবে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তারা এদেশে বিনিয়োগ করতে চায়। তাদের জন্য সুযোগ তৈরি করা যায় কি না সরকার তা ভেবে দেখতে পারে। তিনি বলেন, আমাদের বাংলাদেশিরা দেশের বাইরে সংসদ সদস্য হচ্ছেন। এটা শুনলে ভালোই লাগে। তারা দেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখছেন। এটাও দেশের জন্য বড় ব্যাপার। যারা দেশের জন্য এতো কিছু করছে, তারা কেন ভোট দিতে পারবে না? এটা ভেবে দেখার সময় এসেছে।
শ্যামল দত্ত বলেন, দেশে একদল লোক হাজার হাজার কোটি টাকা রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে। অর্থনীতির চাকাকে মজবুত করছে। আর মুষ্টিমেয় লোক চুরি করে দেশের বাইরে টাকা পাঠাচ্ছে। যারা চুরি করে দেশের ক্ষতি করছে তারাই মর্যাদা পাচ্ছে। আর যারা শ্রম দিয়ে দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নিচ্ছে তারা অবহেলিতই থেকে যাচ্ছে। আমাদের উচিত হবে প্রবাসীদের মর্যাদা আরও সমুন্নত রাখা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সম্প্রতি ইউরোপ থেকে ‘অবৈধ’ ৮০ হাজার কিংবা ৯৩ হাজার বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে এমন সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে বিভ্রান্তি ও কৃত্তিম আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। মাঠপর্যায়ে অনুসন্ধ্যানর পর জানানো হয়েছে, ইউরোপে উল্লেখিত সংখ্যক আনডকুমেন্টেড বাংলাদেশির পরিসংখ্যানটি ভিত্তিহীন। কারণ তাদের অধিকাংশই বিগত ১০ বছরে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বহু পন্থায় ইতোমধ্যে বৈধতার সুযোগ নিয়েছে।
আরকে// এআর