ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

চুড়ান্ত লাইসেন্স পেল সিটি ইকোনমিক জোন

প্রকাশিত : ০৮:৪০ পিএম, ২৩ জানুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি বছরে অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয়ের প্রত্যাশা নিয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাস্তবায়ন হচ্ছে। সে লক্ষে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ইতিমধ্যে ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে প্রি-কোয়ালিফিকেশন লাইসেন্স প্রদান করেছে। এর মধ্যে ৫টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে অর্থনৈতিক অঞ্চলের চুড়ান্ত লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় সিটি ইকোনমিক জোনকে চুড়ান্ত লাইসেন্স প্রদান করেছে বেজা। মঙ্গলবার বেজা কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) পবন চৌধুরী সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমানের হাতে এ লাইসেন্স তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিটি গ্রুপের পরিচালক মো. হাসান, শম্পা রহমান, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী নাসের এজাজ বিজয়সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে বেজার কার্যক্রম বিষয়ে উপস্থাপনা করেন নির্বাহী সদস্য ড.এম এমদাদুল হক।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সিটি ইকোনমিক জোন লিমিটেড বাংলাদেশের অন্যতম প্রথিতযশা শিল্পগোষ্ঠি সিটি গ্রুপ-এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান, যা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক হতে মাত্র ২ কিলোমিটার ভিতরে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে নারায়নগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলায় ৭৮ একর জমির উপর অবস্থিত।

সিটি ইকোনমিক জোন দেশের সার্বিক আর্থসামাজিক উন্নয়ন তথা শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও জিডিপি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে বেজা মনে করে। ইতোমধ্যে সিটি ইকোনমিক জোনের মাটি ভরাট, সীমানা প্রাচীর নির্মানসহ সিড ক্রাশিং,  অটোরাইস এন্ড ডাল মিল এবং এডিবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রজি নামক ৩টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্যাপিটাল মেশিনারিজ এর এল/সি খোলা হয়েছে।

এ ইকোনমিক জোনে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ রয়েছে যা সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের সরবরাহ করা হবে। এর পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পানি শোধানাগার প্লান্ট,বর্জ্য পরিশোধানাগার প্লান্ট,অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থাসহ সকল পরিবেশ বান্ধব ব্যবস্থা থাকবে।

প্রস্তাবিত শিল্পখাতসমূহের মধ্যে ফুড ও বেভারেজ এবং রপ্তানী জাতীয় শিল্প রয়েছে । বাণিজ্যিক উৎপাদনের ১ম বছর থেকে দক্ষ-অদক্ষ,নারী-পুরুষ মিলিয়ে মোট ৩০০০ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে যা পরবর্তী ৫ বছরের মধ্যে ২০ হাজারের অধিক হবে বলে আশা করা যায়।

চূড়ান্ত লাইসেন্স পাওয়ায় সিটি ইকোনমিক জোন লিমিটেডকে ধন্যবাদ দিয়ে সভাপতি পবন চৌধুরী বলেন, সিটি গ্রুপ তার সুনাম অক্ষুন্ন রেখে সিটি ইকোনমিক জোন সফলভাবে বাস্তবায়নে সক্ষম হবে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, সিটি ইকোনমিক জোন বিদেশি বিনিয়োগ আনার মাধ্যমে জিডিপি বৃদ্ধিতে সহায়তা পালন করবে।

সভায় সিটি ইকোনমিক জোনের সার্বিক পরিকল্পনা  নিয়ে আলোচনা করা হয়।

 

আর