ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

স্থুলতা প্রতিরোধে আঁশযুক্ত খাবার

প্রকাশিত : ০৬:০৩ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০১৮ বুধবার

স্থুলতা আজকাল বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর ধীরে ধীরে এটি প্রত্যেকের জীবনে এটি মারাত্মক প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। অস্বাস্থ্যকর খাবার ও অসাবধানতার ফলে মানুষ দিনের পর দিন স্থুল হয়ে যাচ্ছে। স্থুলতা কেবল একটি সমস্যা-ই নয়, এটিকে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও হরমোনাল ডিসঅর্ডারের প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন চিকিৎসকরা।

আর এই স্থুলতা নামক সমস্যা দূরীকরণে যারা প্রথমেই ওজন কমানোর ওপর নজর দেন, তারা স্বাস্থ্যকর খাবার খোঁজেন। ওজন কমানোর জন্য যখন বাজারে প্রচুর পরিমাণে ডায়েট খাবার পাওয়া যাচ্ছে, তখন গবেষকরা বলছেন আঁশযুক্ত খাবার যেমন মটরশুঁটি, ফুলকপি, রাস্পবেরি, ব্ল্যাকবেরি, নারিকেল এবং ডুমুর ওজন কমানোর জন্য মহৌষদ হিসেবে কাজ করে থাকে। বিশেষ করে স্থুলতা প্রতিরোধে এটি দারুণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে জানা গেছে।

জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে, আঁশযুক্ত খাবার স্থুলতা প্রতিরোধে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, আঁশযুক্ত খাবার খেলে শরীরের কোষে উপকারী ব্যকটেরিয়া জন্ম নেয়। এতে শরীরের বিপাক প্রক্রিয়ায় উচ্চ পর্যায়ের প্রোটিন কমে যায়, যা শরীরে চর্বি কমাতে সাহায্য করে। মানুষের স্থুলতা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বিপাকীয় প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন হওয়া উচ্চ পর্যায়ের প্রোটিন।

আর এটি মানুষের শরীরে ব্লাড প্রেসার, রক্তে উচ্চ পর্যায়ের সুগার সহ দেহে চর্বি বাড়িয়ে দেয়। আর এগুলো যখন একজন মানুষের শরীরে বাড়তে থাকে তখন ডায়াবেটিসসহ, হৃদরোগ ও স্ট্রোকের আশঙ্কা বাড়তে থাকে। এতে একজন মানুষের মৃত্যুর ঝুঁকি ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। মানুষের বিপাকীয় ক্রিয়া ও স্থুলতা পরস্পর সম্পর্কযুক্ত বলে জানা গেছে। স্থুলতা শরীরে ক্ষতিকর মাইক্রোব্যাকটেরিয়ার জন্ম দেয়, যা অন্ত্রে জন্ম নেয়।

গবেষক ড. আন্দ্রে গিটজ বলেন, আঁশযুক্ত খাবার মানুষের শরীর বিপাকীয় সমস্যাগুলোকে দূর করে। বিপরীতে যে খাবারগুলো শরীরে উচ্চমাত্রার প্রোটিন যোগায়, তা স্থূলতার জন্য দায়ী বলে গবেষকরা জানান।

সুত্র: জিনিউজ
এমজে/