ভোলায় পরীক্ষামূলক গ্যাস উত্তোলন শুরু
প্রকাশিত : ০৩:৪০ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০১৮ শনিবার

দেশের তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন কোম্পানি (বাপেক্স) ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়ন থেকে পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু করেছে। এটি দেশের ২৭তম গ্যাসক্ষেত্র।
গত সোমবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের কথা ঘোষণার পর আজ শনিবার দুপুর সোয়া একটায় ওই গ্যাসক্ষেত্র থেকে পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে।
এ ক্ষেত্রটি থেকে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)।
জানা গেছে, ভোলার উত্তর প্রান্তে ভেদুরিয়া নামক স্থানে নতুন ক্ষেত্রটি আবিষ্কৃত হয়েছে বাপেক্সেরই ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপের (থ্রি-ডি সাইসমিক সার্ভে) তথ্যের ভিত্তিতে। দেশে আবিষ্কৃত ২৭তম এই গ্যাসক্ষেত্রটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভোলা নর্থ’। বর্তমানে ভোলার দুটি ক্ষেত্র মিলে মোট গ্যাসের মজুদ দুই টিসিএফের (ট্রিলিয়ন ঘনফুট) কাছাকাছি হতে পারে বলে ধারণা করছেন বাপেক্সের বিষেশজ্ঞ কর্মকর্তারা।
এর আগে গত ১ নভেম্বর ভোলার শহবাজপুর ক্ষেত্রের সম্প্রসারিত অংশে খনন করা একটি নতুন কূপের দুটি স্তর থেকে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়েছে। এতে ৭০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এরইমধ্যে সেখান থেকেও গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে।
বাপেক্সের সূত্র জানায়, ১৯৮৬ সালে ভোলায় ২৬৬ লাইন কিলোমিটার দ্বিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপের মাধ্যমে শহাবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রটির সন্ধান পায় বাপেক্স। আমেরিকান কোম্পানি ইউনোক্যাল ২০০৩-০৪ সালে জরিপ চালায়। এ জরিপের ভিত্তিতে ভোলায় অন্তত তিন টিসিএফ গ্যাস থাকার সম্ভাবনার কথা বলেছিল কোম্পানিটি। এরপর বাপেক্স ২০১৬ সালে পুরো দ্বীপের ৬০০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপ চালালে তাতে যে চিত্র পাওয়া গেছে, তার ভিত্তিতেই মুলাইপত্তন ও ভেদুরিয়ায় কূপ খনন করা হয়।
একে// এমজে