ঢাকা, সোমবার   ২০ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

‘খালেদাকে জেলে পাঠালে নেতাদের স্বেচ্ছায় কারাবরণ’

প্রকাশিত : ০৪:০৪ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ০৪:১৮ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০১৮ রবিবার

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠালে দলের সিনিয়র নেতারা স্বেচ্ছায় কারাবরণ করবেন। রোববার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচার রিপোর্টার্স ইউনিটির স্বাধীনতা হলে (তৃতীয় তলা) এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ ঘোষণা দিয়েছেন।
এছাড়া আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামানে রেখে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মোশাররফ। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ও বিএনপি ছাড়া এদেশে নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না।
স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইয়াছিন আলীর মুক্তির দাবিতে এ আলোচনাসভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, এ মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কোনো ডকুমেন্ট নেই। কোনো স্বাক্ষী বলতে পারেনি। সিনিয়র আইনজীবীরা বক্তব্য দেওয়ার জন্য সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু তড়িঘড়ি করে ৮ ফেব্রুয়ারি রায়ের জন্য দিন ঠিক করা হয়েছে।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, বিএনপি নেতারা নয়; খালেদা জিয়ার মামলার রায় নিয়ে বক্তব্য দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রীরাই আদালত অবমাননা করেছেন।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাস রবিন এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক গাজী রেজওয়ান-উল হোসেন রিয়াজ।
উল্লেখ্য, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা করবে ঢাকার পঞ্চম জজ আদালত। দুই কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের এ মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া ছাড়া এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান। অভিযোগ প্রমাণিত হলে এ মামলায় খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। সেক্ষেত্রে আগামী নির্বাচনে অংশ নেয়ার অযোগ্য হয়ে পড়বেন খালেদা।
/ এআর /