ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৫ মে ২০২৫,   জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩২

‘সংবিধানে সহায়ক সরকারের বিধান নেই’

প্রকাশিত : ০৭:০১ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ০৭:০৩ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০১৮ বুধবার

দেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধানে সহায়ক সরকার বলে কোনো সরকার গঠন করার বিধান নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার জাতীয় সংসদে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য তানভীর ইমামের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি জন্ম নিয়েছে মার্শাল ল’ জারি করে সংবিধান লংঘন করার মাধ্যমে অবৈধ পথে। তাই অবৈধ দাবি করা বিএনপির অভ্যাস বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, জিয়াউর রহমানের আমলে ভোটার বিহীন গণভোট (হ্যাঁ/না ভোট) করেছিল। সামরিক বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে কোনো নিয়মনীতি অনুসরণ না করেই তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে সরিয়ে জিয়াউর রহমান নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেছিল এবং সরকার গঠন করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে পরবর্তীতে তার ওই কর্মকান্ড অবৈধ ঘোষিত হয়েছে। তিনি বলেন, ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে সরকার গঠন করার পর মাগুরা ও ঢাকার উপ-নির্বাচনে নজিরবিহীন কারচুপি করেছিল। বিএনপি ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটার বিহীন নির্বাচন করে অবৈধ সরকার গঠন করে। গণআন্দোলনের সম্মুখীন হয়ে দেড় মাসের মধ্যে তাদের পতন ঘটে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ওই সময়ে বিএনপি নির্বাচনী ব্যবস্থা ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছিল। ২০০৬ সালে বাংলাদেশের সংবিধান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্পষ্ট রূপরেখা থাকা সত্ত্বেও তাদের পছন্দের ব্যক্তিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করার চেষ্টা করে নির্বাচনের নামে প্রহসন করার উদ্দেশ্য থাকায় দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা হয়। ওই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২ বছর ক্ষমতায় থাকে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, বিএনপি কোন দিনই গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতার পক্ষে ছিল না। আর এ জন্যই বর্তমানে তারা অসাংবিধানিকভাবে সহায়ক সরকারের দাবি করে আসছে যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

সরকার প্রধান বলেন, বর্তমান সরকার গণতন্ত্রকে সব সময় সমুন্নত রাখবে, সে জন্য সংবিধান পরিপন্থী কোন সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না। জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলা হয়েছে। সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব পালন করবে। এ সরকারের পরিসর ছোট করা হবে। সরকার নির্বাচনকালীন সময়ে শুধু রুটিন কার্যক্রম পরিচালনা করবে, কোন নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে না।

 

আর / এআর