সংসদে প্রধানমন্ত্রী
শিশুর প্রতি সহিংসতা: দ্রুত বিচারে ৪১টি নতুন ট্রাইব্যুনাল
প্রকাশিত : ০৯:১১ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০১৮ বুধবার

নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতার দ্রুত বিচারের লক্ষ্যে ৪১টি নতুন ট্রাইব্যুনাল বসানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এই ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার যাতে দ্রুত হয়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বুধবার সংসদে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য দিদারুল আলমের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, নারীদের সহিংসতা থেকে রক্ষায় সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। যদি কোন মেয়ের প্রতি ইভ টিজিং করা হয়, এসিড নিক্ষেপ করা বা নির্যাতন করা হয় তাহলে সাথে সাথে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বিচার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এসব কারণে সহিংসতা অনেকটা হ্রাস পেয়েছে। তবে মাঝে মাঝে অনেক নারী পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়। ইদানিং সম্পত্তি নিয়েও কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। এ ব্যাপারে সকলকে আরো বেশি সচেতন হওয়ার আহবান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতার বিচারে দীর্ঘসূত্রিতা নিরসনে সরকার আইন প্রণয়ন করেছে এবং বিচারের ব্যবস্থাও করেছে। এছাড়া হতদরিদ্রদের বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে লিগ্যাল এইড ফান্ডের মাধ্যমে মামলা চালাতে টাকা দিয়ে সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশব্যাপী নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের সেবাপ্রাপ্তির সুবিধার্থে ২০১৩ সালে ৪০টি জেলা সদর হাসপাতাল, ২০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং ৬০টি ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেল স্থাপন করা হয়েছে। ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৬৭৭ জন নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুকে আইনি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। দেশের ৯টি ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার থেকে গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩১ হাজার ৫৭৩ জন নারী ও শিশুকে সেবা দেয়া হয়েছে।
সরকার প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সরকার ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০’, ‘পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০’, ‘মানবপাচার (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১২’, ‘পর্ণোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২’, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭’, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (২০১৩-২০২৫) প্রণয়ন করেছে।
আর