ঢাকা, শুক্রবার   ১৬ মে ২০২৫,   জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩২

গুহা থেকে রাজপ্রাসাদে

চীনা রাজনীতিতে জিনপিংয়ের উত্থান: পর্ব ১: 

প্রকাশিত : ১২:৪২ পিএম, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ১২:৪৩ পিএম, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ শনিবার

একবিংশ শতাব্দীতে এমন কোন নেতা পাওয়া যাবে না, যিনি একটি গুহায় বাস করেছেন। পাশাপাশি কৃষিকাজ করেছেন। তবে হ্যা এমনই একজন নেতার সন্ধ্যান পাওয়া গেছে। তিনি শুধু নেতাই নয়, মাও সেতুং এর পর যদি কাউকে ক্ষমতাধর বলা হয়, তাহলে তিনি সেই ব্যক্তি। যার নাম শি জিনপিং।

হ্যা সত্যি-ই শুনছেন, ক্ষমতায় আরোহণের পূর্বে রাজনীতিতে হাতেখড়ি হওয়ার আগে তিনি বসবাস করতেন একটি গুহার মধ্যে। যেখানে তার বাবা-মাও বসবাস করতেন। আর তাদের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র মাধ্যম ছিল কৃষিকাজ।

আজ থেকে ৫০ বছর আগে বেইজিংয়ে সাংস্কৃতিক বিপ্লবের যখন বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়, তখন ১৫ বছর বয়সী শি জিনপিং চীনের দূরবর্তী পাহাড়ি জনপদে কৃষিকাজে মনোনিবেশ করেন। দেশটির গৃহযুদ্ধ চলাকালে এই অঞ্চলকে কম্যিউনিস্টদের উর্বরভূমি বলা হতো। তাই এই ভূমিকে চীনা বিপ্লবের পবিত্র ভূমি বলে ডাকেন চীনারা।

দ্বিতীয়বারের মতো শি জিনপিংয়ের ক্ষমতা গ্রহণের পথ খুলে গেছে। চীনা কম্যিউনিস্ট পার্টি কংগ্রেসের সর্বোচ্চ পদ লাভের পর দেশটিতে দ্বিতীয় মেয়াদের মতো দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন শি জিনপিং।

১৯৬৮ সালে চীনের প্রতিষ্ঠাতা মাওসে তুঙ নগরীর তরুণদের শহর ছেড়ে গ্রামে গিয়ে কৃষক ও দরিদ্র সম্পদ্রায়ের জীবন-জীবিকা অবলোকন করতে বলেন। তাঁর ওই আদেশের পর নগর থেকে হাজার হাজার তরুণ গ্রামে চলে যান। সেই গ্রামের কৃষকদের চরম দারিদ্র্যের জীবন আর তাদের জীবীকার ধরণ আজও বুকে লালন করেন শি জিনপিং।

বিবিসির কাছে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শি জিনপিং বলেন, ওখানে থেকে নেওয়া অভিজ্ঞতা-ই আজকে আমাকে এই অবস্থানে নিয়ে এসেছে। আমি সারা জীবনের জন্য এই মাটির সন্তান। আমি নগরে আছি, তবে আমার হৃদয় সব সময় পরে থাকে লিয়াঙজিয়াহ। লিয়াঙজিয়াহ-ই আমাকে তৈরি করেছে।

সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ১৫ বছর বয়সে আমি যখন প্রথম গ্রামে যাই, তখন খুব উদ্বিগ্ন ছিলাম। পাশাপাশি খুব দ্বিধান্বিত হয়ে পড়েছিলাম। তবে ২২ বছর বয়সে আমি যখন আমি যখন গ্রাম ছেড়ে নগরে পদার্পণ করলাম, আমার জীবনের সবকিছু বদলে গেল। আমি আমার লক্ষ্য ঠিক করে ফেললাম। আর ৭ বছরের সেই গুহার জীবন আমার মনের মধ্যে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে পাড়ি দিই নগরীতে।

চলবে..........

বিবিসি অমলম্বনে লিখেছেন একুশে টেলিভিশনের অনলাইন প্রতিবেদক মোহাম্মদ জুয়েল
এমজে/