ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

মায়া সভ্যতার ৬০ হাজারের বেশি স্থাপনা আবিষ্কৃত

প্রকাশিত : ১০:৫৭ এএম, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার

উত্তর গুয়েতেমালায় একটি জঙ্গলের নিচে ৬০ হাজারেরও বেশি মায়া সভ্যতা নির্মিত স্থাপনার সন্ধ্যান পেয়েছে গবেষকরা। স্যাটেলাইট চ্যানেলের ভিডিও ফুটেজে ধ্বংসপ্রাপ্ত ওই স্থাপনাগুলির খোঁজ পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, মায়া একটি সম্প্রদায়ের নাম, যাদেরকে মেক্সিকান-আমেরিকান নাগরিক হিসেবে ধরা হতো। তবে ওই সম্প্রদায়ের আর কোন লোক অবশিষ্ট নেই। বহুবছর আগে মায়া সভ্যতার বিলুপ্তি ঘটে।

এদিকে গহীন ওই জঙ্গলের নিচে ধ্বংসপ্রাপ্ত পুরোনো ঘর-বাড়ি, উঁচু দালান এবং ৯০ ফুট লম্বা একটি পিরামিডের সন্ধ্যান পাওয়া গেছে। তবে ওই পিরামিডকে স্থানীয়রা এতদিন দেখে আসলেও তারা পিরামিডটিকে পাহাড় বলে জানতো।

এদিকে লেজার রশ্মি সজ্জিত একটি বিমান থেকে ওই সম্প্রদায়ের ধ্বংসপ্রাপ্ত নগরীর বিস্তারিত জানার জন্য অসংখ্য ভিডিও ফুটেজ ও স্থির চিত্র নেওয়া হয়। পরে গবেষণায় দেখা যায়, মায়া সভ্যতার লোকেরা একক কোন জাতি ছিল না। সেখানে বিভিন্ন নগরীর মানুষ এসে সমবেত হয়েছিল। এছাড়া,মায়ানদের সম্পর্কে আগে যে ধারণা পোষণ করা হতো, তার চেয়েও অনেক উন্নত ছিল মায়া সম্প্রদায়।

এদিকে সভ্যতার দিক থেকে অনেক এগিয়ে ছিল মায়ানরা। সেখানে কৃষিকাজ, সেচসহ প্রতিরক্ষা খাতে বেশ সমৃদ্ধ ছিল মায়ানরা। এছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থাও ছিল ওই সময়ের জন্য  উন্নত। সেখানে অনেকগুলো পথের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

এদিকে মায়া সম্প্রদায় নিয়ে প্রথম খবর প্রকাশ করে ন্যাশনাল জিওগ্রাফি। এরপরই গবেষণায় নামে প্রত্নতত্ত্ববিদরা। আমেরিকার নিউ অরলিন্সের টুল্যানে ইউনিভার্সিটির গবেষক মার্শেলো কান্টো বলেন, এটি আবিষ্কারের ফলে জানা গেলে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রাচীন নাগরিকরা কিভাবে জীবন-ধারণ করতো ও কিভাবে চলাফেরা করতো। তাদের সভ্যতায় আধুনিকতার ছোঁয়া পাওয়া গেছে।

মায়া সম্প্রদায়ের ওই নগরীর আয়তন ছিল ২ হাজার ১০০ বর্গকিলোমিটারের কিছু বেশি। ওই সম্প্রদায়ে অন্তত এক কোটি লোক বাস করতেন বলে জানা গেছে। ওই এলাকাটি গুয়েতেমালা ও মেক্সিকো সীমান্তের কাছে অবস্থিত। আগের গবেষণাগুলোতে যা বলা হয়েছিল, এবারের গবেষণায় ওই সম্প্রদায় নিয়ে আরও ব্যপক ধারণা পাওয়া গেল।

এদিকে গত ১০০ বছর ধরে ধারণা করা হচ্ছিল, ওই এলাকায় অন্তত কোন মানুষের বাস হতে পারে না। কারণ এত প্রতিকূল আবহাওয়ায় কোন মানুষ বাস করতে পারে না। আগে ধারণা করা হতো মায়া সম্প্রদায়ের উন্নত কোন অবকাঠামো ছিল না। সেখানে একটি স্বাধীন নগরী ছিল, তবে সেটা ছিল খুবই ছোট।

সূত্র: সিএনএন

এমজে/