ঢাকা, সোমবার   ২৮ জুলাই ২০২৫,   শ্রাবণ ১২ ১৪৩২

নাশকতার আশঙ্কায় নিরাপত্তা: কাদের

প্রকাশিত : ১০:২৪ পিএম, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ বুধবার

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় রায়কে ঘিরে বিএনপি নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করবে এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই দেশব্যাপী নিরাপত্তা বাহিনীকে কঠোর অবস্থানে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। বুধবার সন্ধ্যায় ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন,  গত মাসে হাইকোর্ট এলাকায় খালেদা জিয়ার গাড়ি বহর থেকে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরই বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে নাশকতার প্রস্তুতির ওই খবর আসে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় রায় দেবেন আদালত। দুই কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের এ মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া দোষী সাব্যস্ত হলে তার সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।

এদিকে খালেদার রায় ঘোষণার দিন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশপথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তল্লাশিচৌকি বসেছে। রাজধানীতে রাস্তার মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। অপরদিকে রায়ে সাজা হলে নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের নির্দেশনা দিয়েছেন খালেদা জিয়া। তবে রায়কে ঘিরে জনমনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা রয়েছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, রায়কে ঘিরে এই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার জন্য বিএনপি দায়ী।  মামলা আদালতের বিষয়, আদালতের থেকে এ মামলা কেন রাজনীতির মাঠে আসল? আগে কখনও এমনটা হয়নি।

তিনি বলেন, রায় নেতিবাচক হলে বিএনপি রায় মেনে নেবে না। বিএনপি বলছে এ রায় নাকি প্রধানমন্ত্রী লিখে দিয়েছেন। বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এসব কথা কি আদালত অবমাননার শামিল নয়?

কাদের আরো বলেন, আগামীকাল আদালত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় দেবে। বাংলাদেশের আদালতে প্রতিদিন অসংখ্য মামলার রায় ঘোষিত হচ্ছে। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। কেউ অপরাধ করলে শাস্তি পেতেই হবে। এখন একটি মামলাকে কেন্দ্র করে বিএনপি সরকার ও আদালতের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে, নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে।

সাংবাদিক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নিম্ন আদালতের রায় যদি বিপক্ষে যায়, তিনি (খালেদা জিয়া) উচ্চ আদালতে যেতে পারবেন, সেখানেও যদি বিপক্ষে যায় আপিলের সুযোগ পাবেন। এরপর রিভিউ করা যাবে। সেখানেও রায় বিপক্ষে গেলে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন। রাষ্ট্রপতি দয়ার ভাণ্ডার। আমাদের বিশ্বাস, রাষ্ট্রপতি তাকে ক্ষমা করবেন।

তিনি আরো বলেন, আমরা কোনো সন্ত্রাস ও সহিংসতা সহ্য করব না। সন্ত্রাস ও সহিংসতার মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নিজেদের দুর্নীতির অপরাধ ঢেকে রাখা যাবে না। আমরা দেশের সব গণতান্ত্রিক দেশপ্রেমিক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী জনগণকে বিএনপির সন্ত্রাস, দুর্নীতি, নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানাই।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশানা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, দীপু মনি, আবদুস সোবহান গোলাপ উপস্থিত ছিলেন।

 

আর/টিকে