রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন করতে হবে
প্রকাশিত : ১১:৪৯ পিএম, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ শুক্রবার

রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে সফররত ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেন, দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হলে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আরও জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন সাক্ষাৎ করে এসব কথা বলেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
গণমাধ্যমকে তিনি আরও জানান, বৈঠকে দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় ও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বিশেষ আলোচনা হয়।
বৃটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনের মন্তব্যের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী একমত পোষণ করে বলেন, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচিকেই উদ্যোগী হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পর তাদের দেখভাল করার জন্য ইউএনসিএইচআর এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাকে অনুমতি দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বোঝা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে দশ লাখের অধিক মিয়ানমারের নাগরিকদের অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দিয়েছে। তাদেরকে তাদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। তারা এখানে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
বরিস জনসন রোহিঙ্গা সমস্যাকে ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনে ঘটে যাওয়া অনুরূপ একটি ঘটনার সঙ্গে তুলনা করে বলেন, তখন ছয় লাখ লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছিল। রোহিঙ্গাদের জীবন বাঁচাতে তাদের পাশে দাঁড়ানো এবং মর্যাদার সঙ্গে তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে নিতে শেখ হাসিনার অবস্থানের প্রশংসা করেন।
শেখ হাসিনা বৈঠকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে তাঁর সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করে বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রচারণা ও তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিসের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লাক এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. নজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
কেআই/টিকে