ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

দূষণ ও বালি উত্তোলন বন্ধ হলে হালদা রক্ষা সম্ভব: কাজী খলীকুজ্জমান

প্রকাশিত : ১২:২৭ এএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ রবিবার

হালদা নদীতে দখল রোধ, দূষণ ও ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন বন্ধে সরকারের পাশাপাশি জনগণ এগিয়ে আসলে এ নদীকে রক্ষা করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ ।

সম্প্রতি চট্টগ্রামের হাটহাজারীর গড়দুয়ারা নয়াহাট এলাকায় ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (আইডিএফ) আয়োজিত ‘হালদা নদীতে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র সংরক্ষণ ও উন্নয়ন’ সম্পর্কিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি  এ কথা বলেন।

কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ইতোমধ্যে হালদাকে জাতীয় নদী ঘোষণার দাবি ওঠেছে। আমিও এ দাবির প্রতি একমত। এ নদীকে বাঁচাতে পিকেএসএফ সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাবে।

তিনি আরোও বলেন, সারাদেশে নদী দখল সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল নিজেদের সম্পদ বাড়াতে গিয়ে অসংখ্য মানুষের সমস্যার সৃষ্টি করছে। হালদা নদী এভাবে অনেক ক্ষেত্রে দখলদারদের কবলে চলে যাচ্ছে। তাছাড়া নদী দূষণ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।

কাজী খলিকুজ্জমান বলেন, নদী দখলদার ও দূষণকারীদের আইনের আওতায় আনার জন্য জনপ্রতিনিধি, সচেতন জনগণ ও প্রশাসনকে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। এজন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা দরকার।

পিকেএসএফএর ব্যবস্থপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল করিম বলেন, হালদা নদী বাংলাদেশের একমাত্র নদী। যেটি বাংলাদেশ থেকে উৎপত্তি এবং এ দেশে শেষ। নদীর দূষণ ও বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে। এক সময় বিশেষ করে ১৯৪৫ সালে এ নদী থেকে ৫ হাজার কেজি ডিম পাওয়া যেত। কিন্তু গত কয়েক বছর পূর্বে নদীতে মা মাছের ডিম ছাড়ার পরিমাণ একেবারে কমে গিয়েছে ।

তিনি আরোও বলেন, গত বছর পিকেএসএফ ও আইডিএফের প্রকল্পের কারণে এ নদী থেকে ডিম আহরণের পরিমাণ ১৬ শ ৮০ কেজিতে উন্নীত হয়েছে। ভবিষ্যতে প্রকল্পের কার্যক্রম অব্যাহত রেখে জনগণকে সচেতন করতে পারলে ডিম আহরণের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।

পিকেএসএফ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সাবেক মূখ্য সচিব মো. আবদুল করিমের সভাপতিত্বে সভায়  বিশেষ অতিথি ছিলেন, প্রফেসর ড. জাহেদা আহমদ, পিকেএসএফএর উপ–পরিচালক (প্রশাসন) ড. জসিম উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আক্তার উননেছা শিউলী, গড়দুয়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরোয়ার মোরশেদ তালুকদার।

 

এমএইচ/টিকে