ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

আনন্দ-অশ্রুতে জবি আইন বিভাগের নবীন বরণ ও বিদায় অনুষ্ঠান

প্রকাশিত : ১১:০১ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ০৭:৪৮ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সোমবার

একদিকে হাস্যোজ্জ্বল নবীনেরা অন্যদিকে পুরনোদের অশ্রুসিক্ত বিদায়। আনন্দ আর অশ্রুর মধ্যে দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ বরণ করে নিল নতুনদের আর বিদায় জানাল পুরনো শিক্ষার্থীদের।

আজ রবিবার সকালে রাজধানীর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনই আবেগঘন পরিবেশের মধ্যে দিয়ে আয়োজিত হয় নবীন বরণ ও বিদায় অনুষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আইন বিভাগের দশম ব্যাচকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেওয়া হয়। একই অনুষ্ঠানে বিদায় জানানো হয় স্নাতকোত্তর পর্যায়ের বিভাগের পঞ্চম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন নবীন বরণ ও বিদায় অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহবায়ক এবং আইন বিভাগের সহকারি অধ্যাপক খায়ের মাহমুদ। এসময় তিনি অনুষ্ঠানে আগত সকল অতিথি, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি শুভেচ্ছা নিবেদন করেন। এরপর অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দ আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৭-১৮ সেশনের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। তারপর ২০১২-১৩ সেশনের পঞ্চম ব্যাচের বিদায়ী স্মারক প্রদান করেন অতিথিবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপ্রতি এবং বাংলাদেশ আইন কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক। আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “আইনের মাধ্যমে দুর্বলদের রক্ষা করতে হবে। লর্ড জেনাস এর মত হতে হবে। পেছনে কী ঘটেছে তা জেনে আইন বুঝতে হবে”।

এসময় আগামীতে আইন অঙ্গণে পা রাখতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, “ভাল আইনজীবীর কাজ এটা না যে তারা আইন মুখস্থ করবে। বরং কোন আইন মানুষদের উপকারে আসবে, সাহায্য করবে তা জানতে হবে। আর তোমাদের মধ্যে যারা বিচারপতি হবে তাদের বলছি যে, পরিশ্রমী হতে হবে। দেশের জন্য আমাদের সবাইকে চিন্তা করতে হবে এবং ভালবাসতে হবে।

আইন বিভাগকে ‘প্রেস্টিজিয়াস সাবজেক্ট’ উল্লেখ করে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান বলেন, “জীবনের সার্থকতা আর সফলতা এক কথা নয়। তেমনি শুধু আইন দিয়েই বিচার হয় না। আইনের আসল মর্মার্থ বুঝতে সাহিত্য চর্চা এবং দর্শনজ্ঞানও প্রয়োজন”। এসময় তার বক্তব্যে ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন উপাচার্য মীজানুর রহমান। পাশাপাশি আদালতে বাংলা ভাষার প্রচলনে অবদান রাখার জন্য বিচারপতি খায়রুল হককে ধন্যবাদ জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন করেন আইন অনুষদের ডীন ও বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সরকার আলী আককাস। তিনি বলেন, “আমাদের ছেলে-মেয়েরা দিন দিন ভালো করছে। মুট কোর্ট প্রতিযোগিতাসহ জুডিসিয়ারি, বিসিএস সহ অন্যান্য কর্মক্ষেত্রেও আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জন করছে। আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে আশা করি”। আইন বিভাগের জন্য নতুন শ্রেণীকক্ষ দেওয়ার জন্য এসময় বিশ্ববিদ্যাল্য প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিম ভূঁইয়াসহ বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী এবং অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারি উপস্থিত ছিলেন।

//এস এইচ এস//