ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

দেশব্যাপী ইন্টারনেটের সীমিত গতি

শাওন সোলায়মান

প্রকাশিত : ১২:১২ এএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০১:৪৯ এএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সোমবার

প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে মোবাইল ফোনের পাশাপাশি দেশব্যাপী সবধরনের ইন্টারনেটের গতি সীমিত থাকবে। এর আগে প্রতি পরীক্ষার দিন সকাল ৯ টা থেকে সকাল ১০ পর্যন্ত শুধু মোবাইল ইন্টারনেটে গতি সীমিত রাখার নির্দেশনা দিয়েছিল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কমিশন বিটিআরসি। সেই নির্দেশনাটিকে দেশব্যাপী সকল ধরনের ইন্টারনেট সংযোগের জন্য প্রযোজ্য করা হয়েছে।


আজ রবিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ। তিনি বলেন, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি এ সেবার সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো হয়েছে।

এদিকে পরীক্ষার দিন সকালে ইন্টারনেটের গতি যে পরিমাণ ধীর রাখা হবে তাকে এক ধরণের ‘ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন’ অবস্থা হিসেবেই দেখছেন প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ইন্টারনেটের গতি সীমিত রাখার বিষয়ে আজ রবিবার রাতে পরীক্ষামূলক ভাবে দেশব্যাপী ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখা হয়। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি বিটিআরসি। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা কামাল রবিবার রাতে ইটিভি অনলাইনকে বলেন, “শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে বিটিআরসি এমনটা করে থাকতে পারে। আমি প্রযুক্তি বন্ধের পক্ষে কখনই না। তবে এ বিষয়ে এখন মন্তব্য করতে পারছি না”। সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, “এখনও এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানি না। চেয়ারম্যান স্যারকে জিজ্ঞেস করলাম। তিনিও কিছু জানেন না বললেন। আমরা জানার চেষ্টা করছি কেন ইণ্টারনেট বন্ধ ছিল। জানতে পারলে গণমাধ্যমের মাধ্যমে দেশবাসীকে জানানো হবে”।

তবে সরকারের এমন সিদ্ধান্তে বেজায় নাখোশ প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। বিশেষ করে ইন্টারনেট ভিত্তিক ব্যবসা বা ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা সরকারের এমন সিদ্ধান্তে বেশ চিন্তিত। ই-শপ ইটিসি ওয়্যারহাউসের চেয়ারম্যান আমিন উদ্দীন সাগর বলেন, “মাথা ব্যথার চিকিৎসা যদি মাথা কাটাই হয় তাহলে তাই কাটুক। তাও যদি প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ হয়। মাঝখান থেকে আমাদের ব্যবসা খারাপ। আর সরকারের জন্যও তার ফলাফল ভাল হবে না। সরকার রাজস্ব হারাবে”। প্রযুক্তিবিদ তানভির হাসান জোহা বলেন, “এটা এক ধরণের ‘ডিজিটাল ঝাকুনি’। প্রতিদিন কিছু সময় এ ঝাঁকুনি থাকবে। তবে উদ্বেগের বিষয় হল এই যে, এখন তো অনেক সরকারি সেবার কাজও ইন্টারনেটে হয়। আর সকাল সময়টা অফিস-আদালতের জন্য খুবই ব্যস্ত সময়। তখন যদি ইন্টারনেট সংযোগ না থাকে তাহলে জনগণই ভোগান্তিতে পরবে”।

আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইন্টারনেটের বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।

টিকে