ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

ফোর-জিতে বাড়বে সুবিধা

প্রকাশিত : ০১:৫২ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৫:২৮ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার

ফোর-জি বা চতুর্থ প্রজন্মের টেলিযোগাযোগ সেবা অবশেষে আসছে। মোবাইল ফোন অপারেটরদের এ সেবা দেওয়ার লাইসেন্স মিলবে ১৯ ফেব্রুয়ারি। আর এই ফোর-জি চালু হলে মোবাইল ফোনে পাওয়া যাবে আরও দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা। ফোর জি তরঙ্গ বরাদ্দের জন্য নিলাম শুরু করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাজাহান মাহমুদের উপস্থিতিতে নিলামের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়

বর্তমানে বাংলাদেশে প্রচলিত থ্রি-জির এটি পরের ধাপ। বাণিজ্যিকভাবে প্রথম এই সেবা চালু হয় ২০০৯ সালে; নরওয়ে ও সুইডেনে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াসহ প্রায় সব উন্নয়নশীল দেশেই ফোর-জি সেবা চালু আছে। বাংলাদেশে সে হিসেবে এটি বেশ পরেই এল।
নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির বিবর্তনের একটি ধাপ হলো ফোরজি। আশি ও নব্বইর দশকে ব্যবহৃত ওয়ানজি ও টুজি মূলত ভয়েস ও সাধারণ ডিজিটাল ডেটা ট্রান্সমিশনে সক্ষম ছিল। পরবর্তীতে উচ্চ গতির ইন্টারনেট সেবা প্রদানে সক্ষম থ্রিজি ও ফোরজি নেটওয়ার্কের যাত্রা শুরু হয় যথাক্রমে ১৯৯৮ ও ২০০৮ সালে। সাধারণভাবে ধরা হয় ফোরজি নেটওয়ার্কে ইন্টারনেটের গতি থ্রিজি নেটওয়ার্কের তুলনায় ১০ গুণ বেশি। বিটিআরসি কর্তৃক নির্ধারিত ফোরজির গতি সেকেন্ডে ২০ মেগাবিট।

মোবাইল ফোন অপারেটররা আরও বলেছে, ফোর-জি প্রযুক্তি উন্নত ও সাশ্রয়ী বলে ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচও কম হবে।

এর আগে এক অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিপ্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ফোরজি চালু হলে কর্মসংস্থানের একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। তখন যদি হাইস্পিড ইন্টারনেট কানেকটিভিটি থাকে গ্রামে অর্থাৎ ফোরজি কানেকটিভিটি যদি সারা দেশে দ্রুত প্রসার করতে পারি তখন আইটি ফ্রিল্যান্সার বলুন, যেকোনো ইন্টারনেট বেইজড কর্মসংস্থানগুলো আছে সেগুলো পাওয়ার জন্য গ্রামের তরুণ-তরুণীদের আর শহরে আসতে হবে না। তারা গ্রামে বসেই ফোরজি ইন্টারনেট ব্যবহার করে আয়-রোজগারের ব্যবস্থা করতে পারবে।

এসএইচ/